উখিয়ায় মাঠ জুড়ে সোনালী ফসলের ঝিলিক যেন চারিদিকে রাঙ্গিয়ে তুলছে।শুরু হয়েছে শস্য কর্তন। আর কয়েক দিন পর ঘরে ঘরে চলবে নবান্নের উৎসব । আমন চাষাবাদের ফলন উৎপাদন দেখে হাসি ফুটেছে চাষীদের ।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছেন উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চলতি আমার মৌসুমে ৯ হাজার ৬ শত ৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় । কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরক্ত আরো ১০ হেক্টর জমিতে বেশী আবাদ হয়েছে।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় রাজা পালং, দরগাহবিল, ডেইল পাড়া, ফলিয়াপাড়া, তুতুরবিল, হিজলিয়া, রত্না পালংয়ের ভালুকিয়া পালং গয়ালমারা চাকবৈটা, সাদৃ কাটা হলদিয়া পালংয়ের চৌধুরীপাড়া, রুমখা পালং পাতাবাড়ি, পাগলীর বিল, মরিচ্যা পাল, বড় বিল জালিয়া পালং, ইনানী সোনার পাড়া, পাইন্যাশিয়া পালংখালীর বালুখালী থাইংখালী, আনজুমান পাড়া রহমতের বিল সহ বিভিন্ন এলাকার মাঠ জুড়ে সোনালী ধানের হিমেল হাওয়া বয়ে চলছে। আমন চাষাবাদের পাকাধানের মৌ মৌ গন্ধে কৃষক কৃষাণীরা আনন্দের খুশিতে মাতোয়ারা।
ভালুকিয়া পালংয়ের কৃষক আব্দুর রশিদ ও হলদিয়া পালংয়ের মফিজুর রহমান জানান এবারে আবহাওয়ার পরিবেশ অনুকূল থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যা সহ প্রযুক্তি ব্যবহার করায় আশানুরূপ পালন উৎপাদন সম্ভব হয়েছে ।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদ বলেন , উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ ও অধিক ফলন উৎপাদনে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ ও রোগবালাই ধমনে কীটনাশকের পাশাপাশি জৈবিক পদ্ধতিসমূহ ব্যবহারের পরামর্শ এবং কৃষকদের মাঝে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, চলতি আমান মৌসুমে ব্রি ৩০, ৩৩, ৪৯, ৫১,৫২,৮৪,৭৯,৮৭ বি আর ১০ ও ১১ নম্বর উপশী জাতের বীজ দিয়ে চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়াও হরিধান ও হাইব্রিড জাতের আবাদ করেছে কৃষকরা ।
এদিকে মাঠ জুড়ে পাকন ধরায় প্রতিটি এলাকায় শস্য কর্তন শুরু হয়েছে। ধান মাড়াই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চাষীরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, চলতি মৌসুমে আমন চাষাবাদের ফলন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ২ শত ২৭ মেট্রিক টন। তিনি বলেন এবারে আশানুরুপ ফলন উৎপাদন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।