কক্সবাজারের উখিয়া মরিচ্যাবাজার থেকে ২০ মায়ানমার (রোহিঙ্গা) নাগরিককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।ope
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেফতার রোহিঙ্গারা হলেন— বশির আহম্মদ (৬০), সাব্বির হোসেন (৪৪), আবুল মনসুর (৩৮), নজু মিয়া (৭০), মো, আয়াছ (৩৪), নূর মোহাম্মদ (৬২), সলিম উল্লাহ (৪৫), আবু তাহের (৫০), সোনা আলী (৬৫), মো. সায়দ ১১, আলী হোসেন (৬০), রশিদ আহম্মদ (৬৪), সাইদুর রহমান (৪০), সৈয়দ হোসেন (৫০), আমীর হোসেন (৬০), রশিদ উল্লাহ (৩৫), আমান উল্লাহ (৩৫), আব্দুর রহমান (৬০), আব্দুল হামিদ (৬৩), মো. সেলিম (৪২)।
মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, উখিয়ার কুতুপালংসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে কৌশলে অবৈধভাবে বের হয়ে কক্সবাজার জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একদল রোহিঙ্গা মরিচ্যাবাজার গরুর হাটে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে গাড়িতে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় বিশ্বস্থ সূত্রে খবর পেয়ে র্যাব ওই স্থানে গিয়ে তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করে। পরে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাদের ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা নিজেদের রোহিঙ্গা স্বীকার করে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার থেকে কোনো পাসপোর্ট, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তারা। এরপর কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং, থ্যাইংখালীসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান করছিলেন তারা।
আবু সালাম চৌধুরী আরো জানান, এসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় স্থায়ীভাবে বসবাস ও অপরাধ সংগঠনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছিল। একটি বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
গ্রেফতার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।