বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় মোখা'র প্রভাবে উখিয়ায় কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছ পালা সহ ফলজ গাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকারি ভাবে এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন জানান স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সরেজমিন তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে মোখার প্রবল বাতাসে বিদ্যুৎতের খুটি ভেঙে গিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।মোখার তীব্র আঘাতে রাজা পালং, রত্মা পালং, হলদিয়া পালং, জালিয়া পালং ও পালংখালী ইউনিয়নের কম বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গণ জানিয়েছেন।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব জানান, ঘুর্ণিঝড় মোখার আগাম প্রস্তুতি হিসাবে জালিয়া পালং ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা সোনারপাড়া, ডেইলপাড়া, চরপাড়া এলাকা সহ ৫ টি ইউনিয়নে ঝুঁকিতে বসবাসরত প্রায় ১১ হাজার মানুষকে স্ব স্ব এলাকার সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে এসে নিরাপদে রাখা হয়েছিল। সাইক্লোন সেন্টার আশ্রয় নেওয়া লোকজনকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতে ও দিনে খাবার দেওয়া হয়েছে ।
ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন সজীব আরো জানান ৪৬ টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছিল । গঠন করা হয় ১১টি মেডিকেল টিম। স্টেন্ডবাই ছিল ৬ টি রেস্কিউ টিম। জানমাল রক্ষায় সিপিপি ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও উন্নয়ন সংস্থার ভলান্টিয়ার মিলে সর্বমোট ৬ শতাধিক কর্মী মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, প্রতিটি গ্রামে কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতি হয়েছে। ঘেরাবেড়া উপড়ে গেছে। সুপারি গাছ, কলা গাছ, নারিকেল গাছ সহ বিভিন্ন বনজ গাছ পালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পালংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ২ টি বড়গাছ ভেংগে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে সিপিপি সদস্যরা গাছ অপাসারণ করে সড়কে চলাচল উপযোগী করেছে।
স্হানীয়রা জানান, কাঁচা ঘরবাড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান ও মাদ্রাসার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জানান মোখার প্রবল বাতাসে ১২ টি বিদ্যুৎ খুটি ভেঙে গেছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আজ সোমবার দ্রুত মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে।