উখিয়ায় বিনা লাইসেন্সে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ডেন্টাল কেয়ার , হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বিভিন্ন স্টেশন ও হাটবাজারে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এসব ডেন্টাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান নাই বললেও চলে। এমন অভিযোগ সচেতন মহলের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রি পরিষদে নিযুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্যাথলজি ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নির্দেশের ৪ দিন পার হওয়ার পরও উখিয়ায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডেন্টাল কেয়ার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়নি। এই নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্যানেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক নুরুল আলম জানান, সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উখিয়া, কোটবাজার, কুতুপালং থাইংখালী, সোনার পাড়া ও মরিচ্যা স্টেশনে গড়ে ওঠা ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডেন্টাল কেয়ার, ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , উখিয়ায় ৮ টি ডেন্টাল কেয়ার সেন্টার থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন বৈধ কাগজপত্র নাই। বিনা লাইসেন্সে এসব ডেন্টাল কেয়ার সেন্টার চালু করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে ।
সরজমিনে দেখা গেছে, কোটবাজার জমজম মার্কেটে কক্সবাজার ডেন্টাল কেয়ার, ইসমাইল ডেন্টাল কেয়ার, মোছা ডেন্টাল কেয়ার, বিসমিল্লাহ ডেন্টাল কেয়ার, বালুখালীতে বিকে ডেন্টাল কেয়ার, থাইংখালীতে সেবা ডেন্টাল কেয়ার, কুতুপালংয়ে রায়হান ডেন্টাল কেয়ার ও ফরিদা ডেন্টাল কেয়ার রয়েছে। উক্ত ডেন্টাল কেয়ারের কোন বৈধ কাগজপত্র নাই বলে সূত্রে প্রকাশ।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নুরুল আলমের সাথে এ ব্যাতপারে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান চলতি হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা গেছে এসব ডেন্টাল কেয়ার সেন্টারের কোন বৈধ লাইসেন্স নাই । এমনকি প্রশিক্ষণ ছাড়াই হাতুড়ে লোক দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। যেটিকে অপ চিকিৎসা বলা যায় । চিকিৎসা নিতে এসে অনেকের অপ মুত্যু পর্যন্ত হয়েছে ।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি ল্যাবের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নাই। এমনকি কাগজপত্র থাকলেও হালনাগাদ নবায়ন নাই।
এলাকাবাসী অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা এসব হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও ডেন্টাল কেয়ার সেন্টার বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে অপ চিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন ।