সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া নিউজ ডটকম।
প্রকাশিত: ২৬/০২/২০২৫ ৫:০৩ পিএম

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের স্টেশনগুলো চলে গেছে অবৈধ দখলদারদের কবলে। এখানে সরকারি রাস্তায় দোকান বসিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জমিদারি চালাচ্ছেন, এসব ষ্টেশনের দু,পাশে ঝুপড়ি দোকান ছাড়াও ফুটপাতসহ সবকিছুই দখলে নিয়েছে সিন্ডিকেট সদস্যরা। নো্‌‌হা, সিএনজি সমিতিগুলো স্টেশনগুলোকে ব্যবহার করছে অস্থায়ী টার্মিনাল হিসেবে। নিরবে চলছে দৈনিক, মাসিক আর্থিক লেনদেন।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, একদিকে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনে সড়কের উপর অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের নামে সমিতিগুলো চালকদের কাছে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে পার্কিং চাঁদা। অন্যদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন কারনে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দু,পাশে সরকারি জায়গায় উপর জামানত নিয়ে দোকান বসিয়েছে অবৈধ দখলদাররা। ফলে স্টেশন গুলোতে নিত্য যানজট লেগেই আছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক প্রশস্তকরণ করা হলেও এর সুফল মেলেনি জনগণের ভাগ্যে।


উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি মাসিক সভায় যানজট ভোগান্তি কামাতে উখিয়া উপজেলার ফুটপাত দখলমুক্ত করার ঘোষণা বারবার উচ্চারিত হলেও দৃশ্যমান অগ্রগতির দেখা মিলেনি এখনও।

পরিদর্শন কালে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার পালংখালী বাজার থেকে মরিচ্যা বাজার প্রায় প্রত্যেকটি বাজারের স্টেশনের দুপাশে ঝুপড়ি দোকান বসিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিশেষ করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালং বাজারে সড়কের দু’পাশে গড়ে উঠেছে  বাজার। যা সড়কের ওপর উঠে পড়েছে। এতে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িগুলো আটকা পড়ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী মেম্বার  হেলাল উদ্দিন এসব দোকান থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করার কারণে এসব বাজার রাস্তার ওপর উঠে পড়েছে। আবার এসব ব্যবসায়ীর অধিকাংশই রোহিঙ্গা।

উখিয়া ব্যস্ততম বাজার কোটবাজার স্টেশনের দু,পাশ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও কেউ কথা শুনেনি। ফলে এ স্টেশন যানজট লেগেই থাকে। শুধু রাস্তার দু,পাশ দখল হয়নি,রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত ড্রেনের স্লেপ পর্যন্ত বেদখল হয়ে গেছে। রাস্তার পাশে যে স্লেপ স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ জনগণের চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে উখিয়া সদর ষ্টেশনে  তার উপর রাখা হয়েছে পানির ড্রাম, মুড়ির বস্তাসহ বিভিন্ন মালামাল।

পথচারীরা জানান, সড়ক প্রশস্তকরণ করেও চলাচলে মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বলে জানান তারা।

এদিকে এ নিয়ে একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরাফাত চৌধুরী স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, উখিয়ার ব্যাস্ততম বানিজ্যিক স্টেশন কোটাবাজারের যানজটের অন্যতম কারন হচ্ছে আরকান সড়কের উপর ঝুপড়ি দোকান গুলো।

খুনি হাসিনার দোসর উখিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী তাসহিদ চৌধুরী এখনো কি ভাবে ফুটপাত দখল করে চাঁদাবাজি করে।

আমি উখিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার, এসিল্যান্ড, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয়কে অতি শীঘ্রই এই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান চৌধুরীর মোবাইল নাম্বারে কল দেয়া হলে তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত

ওসি বললেন প্রমাণ কি আছে আপনার.. কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি

শাহপুরী হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে কক্সবাজার -টেকনাফ সড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। রাতে ছাড়াও ...

রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপ। দীর্ঘ ...