উখিয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী গুদামজাত করে রমজানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পায়তারা করে যাচ্ছে কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী। ফলে অতীতের মত এবারও গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর হাতে সাধারণ ব্যবসায়ী ও জনগণকে জিমি থাকতে হবে এমনটাই আশঙ্কা করছেন অভিজ্ঞ মহল।
জানা যায়, সারা বছর উখিয়ার ব্যবসায়ীরা জিম্মি থাকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের হাতে। কারণ গুটিকয়েক ব্যবসায়ী সারাবছর নিয়ন্ত্রণ করে থাকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বাজার। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সারা বছর দ্রব্যমূল্য নিয়ে সিন্ডিকেট করা ব্যবসায়ীরা রমজান এলে তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে এসব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গলাকাটা বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোন অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় সাধারন জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উখিয়া সদরের পুরো পাইকারি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ বিশ্বনাথ স্টোর, প্রদীপ স্টোর ও সিরাজ সওদাগরের নিয়ন্ত্রণে। তিনজনের এই সিন্ডিকেটটি বহু পুরানো। প্রশাসন সহ অনেকেই চেষ্টা করেছেন সিন্ডিকেটটি ভাঙ্গার। কিন্তু তাদের দমিয়ে রাখা যায়নি, প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে চালিয়ে গেছেন তাদের আপতৎপরতা। রমজানকে তারা মোক্ষম সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে । অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানে এলে তিনজনের সিন্ডিকেটটি নিত্য পণ্যের বিশাল মজুদ গড়ে তোলার জন্য পুরো বিল্ডিং ভাড়া করে নেয়। কারণ গুদাম জাত করে গলাকাটা বাণিজ্য করায় তাদের মূল লক্ষ্য।
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সভাপতি সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, রমজান হচ্ছে সংযমের মাস, এ মাসের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কাঙ্কিত নয়। সারা বছর এমনিতেই দ্রব্যমূল্য নিয়ে হা হুতাশ জনমনে। তারপরও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রমজান এলে তাদের মুনাফা ও তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। তিনি এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার উপর জোর দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানভীর হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যাতে না হয় সেজন্য অচিরেই আমরা বাজার মনিটরিং করবো। প্রতিটি দোকানে যাতে দ্রব্যমূল্যের তালিকা থাকে সেটা নিশ্চিত করা হবে। অচিরেই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে। কেউ সিন্ডিকেট করে যদি দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত