শ.ম.গফুর,ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি :
উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৭'র অভ্যন্তরে পিতা-পুত্রের মানব পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।বিদেশে ভালো আরামদায়ক কাজের ভিসায় মোটা টাকার বেতনের প্রলোভনে ফেলে নিরীহ সহজ-সরল রোহিঙ্গাদের বিদেশে পাঠানোর কথা বলে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রোহিঙ্গা পিতা-পুত্র।এতে বহু নিরীহ সাধারণ রোহিঙ্গা পিতা-পুত্রের সিন্ডিকেটের হাতে সর্বশান্ত হওয়ার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ও প্রতারণার শিকার অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গারা জানান,কুতুপালং ক্যাম্প-৭'র এফ ব্লকের সাব মাঝি শামসুল আলম একজন প্রভাবশালী রোহিঙ্গা। তার ফায়সাল নামের এক ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী।ছেলের পাঠানো ভিসায় সৌদি আরব পাঠানোর নামে,পাসপোর্ট, ভিসা সহ সব কিছু ঠিকঠাক করেই সৌদি আরব লোকবল পাঠাতে সক্রিয় রয়েছেন।ক্যাম্প-৭ ছাড়াও অন্যান্য ক্যাম্প থেকে লোকজন যোগাড় করে বিদেশে পাচারের নামে অনেকের নিকট থেকে লাখ-লাখ আত্নসাত করার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ওই পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে।
সৌদি আরব থাকেন ছেলে ফায়সাল,ক্যাম্পে থেকেই পিতা শামসুল আলম ও তার আরেক ছেলে রফিক মিলে রয়েছে তিনজনের মানব পাচার সিন্ডিকেট। তাদের চক্রের সদস্য ঢাকা-চট্রগামেও রয়েছে।যাদের মাধ্যমে নাম-ঠিকানা ভিন্ন দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে দেন।অনেকের সাথে পাসপোর্ট, ভিসা সহ সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে ৭/৮ লাখ টাকা দরদাম সাব্যস্ত করে প্রথমে পাসপোর্ট তৈরি করে দিয়ে ২/৩ লাখ টাকা অগ্রিম গ্রহণ করেন পিতা-পুত্র।প্রথম কিস্তিতে নেওয়া লাখ-লাখ টাকা গ্রহণ করে আর সৌদি আরব না পাঠিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।পিতা শামসুল আলম মাঝি, পুত্র রফিক ও ফায়সালের প্রতারণার শিকার অনেকেই মুখ খুলে প্রতারিত হওয়া এবং প্রদেয় টাকা ফেরত চাইতে পারেন না,কারণ শামসুল আলম ব্লক মাঝি এবং প্রভাবশালী রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা। তাদের সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে আল ইয়াকিন, আরসা সহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকেন ভুক্তভোগীদের।
এমন একজন ভুক্তভোগী ছন্দনাম আয়াত উল্লাহ।তাকে সৌদি আরব পাঠানোর জন্য ভিসার দাম চুড়ান্ত করেন ৭ লাখ টাকা। পাসপোর্ট তৈরী করে দিয়ে অগ্রীম নেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।নিদিষ্ট সময়ের ভিতর
সৌদি আরব পাঠাতে না পারায় শুরু হয়েছে ধূম্রজাল।কবে নাগাদ সৌদি আরব পাঠাতে পারবে তা অনিশ্চিত হয়ে দাড়িয়েছে।ভুক্তভোগী অগ্রীম নেওয়া আড়াই লাখ ফেরত চাইলেও দিচ্ছেন না পিতা শামসুল আলম ও তার ছেলে রফিক এবং ফায়সাল।টাকা চাইলেই উল্টো জানে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দেন।
অনেকেই মৃত্যুর ভয়ে টাকা চাইতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ১৪ এপিবিএন'র ক্যাম্প-৭'র দায়িত্বরত ওসি কবির আখন্দ বলেন,এ সংক্রান্তে কোন প্রকার অভিযোগ পায়নি।তারপর খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।