কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের তিন মাদক কারবারির সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরা হলেন- মাহমুদুল করিম খোকা, মো. সিদ্দিক ও মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন::উখিয়ায় শুন্য থেকে কোটিপতি ওরা ৩ জন
দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদেশ পেয়ে ওই তিনজন মাদক কারবারির সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই সম্পদ দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আদালত দুদকের তদন্তকারি কর্মকর্তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার (১ ডিসেম্বর) ওই আদেশ দিয়েছেন।
সূত্র মতে, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার লম্বাঘোনা এলাকার মৃত ফকির আহমেদের ছেলে মাহমুদুল করিম খোকার ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। ওই সম্পত্তি তিনি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করেছেন।
তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে কক্সবাজার শহরে ঝিলংজা মৌজায় ৫.৬ নাল জমি এবং অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে মিনি বাস ও মাইক্রোবাস।
এই সম্পদ ক্রোক করার পর কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি), কক্সবাজার সদর সাব-রেজিস্ট্রার ও কক্সবাজার বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালককে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে টেকনাফের মৌলভী পাড়ার মৃত হাজী কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীর এক কোটি ৩৩ লাখ ৬৭ হাজার ২১০ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। ওই সম্পত্তি তিনি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করেছেন।
এই সম্পদের মধ্যে রয়েছে টেকনাফ মৌজার ২৬.৬৭ শতক জমি, ওই জমিতে ২০১৭ সালে সেমিপাকা স্থাপনা নির্মাণ, একই মৌজার ৬০ শতক জমি, ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর কেনা ২০ শতক জমি ও ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল কেনা এক একর ২০ শতক জমি।
এই জমি ক্রোক করার পর টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও টেকনাফের সাব-রেজিস্ট্রারকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।
অপরদিকে টেকনাফের বড় হাবিরপাড়ার মৃত আমির আলীর ছেলে মো. সিদ্দিকের ৯৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সম্পদের কোন বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। ওই সম্পত্তি তিনি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করেছেন।
এই সম্পদের মধ্যে রয়েছে ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল কেনা টেকনাফ মৌজার এক একর ৬১ শতক নাল জমি, একই মৌজায় ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর কেনা দুই একর ১০ শতক নাল জমি ও ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর কেনা ২৯ দশমিক ৫০ শতক খিলা ও ভিটা জমি।
এই জমি ক্রোক করার পর টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও টেকনাফের সাব-রেজিস্ট্রারকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।