হাসান তৌহিদ।।
যেটুকু অধিকার এখনো অবশিষ্ট আছে সেটাও হারাতে যাচ্ছে উখিয়া-টেকনাফের প্রত্যক্ষ সুবিধাবঞ্চিত ভোক্তভোগীরা। এনজিও সংস্থা গুলো ষড়যন্ত্রের জন্মদাতা। কিন্তু উখিয়া-টেকনাফের কতিপয় বিজ্ঞজনরা নির্বোধের মত সহজ ভাবেই দেখছে সবকিছু। তবে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যাপার থাকলে সেটা ভিন্ন বিষয়। উখিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চাকরি মেলা সম্পর্কে ঠিক এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা।
উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় সচেতনমহল আরো মন্তব্য করেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাঁধা হচ্ছে কক্সবাজারে কর্মরত সংস্থাগুলোর কর্তা-কর্মীরদের বিলাসী জীবন। কক্সবাজারের বিলাসী জীবন ছেড়ে ভাসানচরে সেবা দিতে যেতে চায় না এনজিও সংস্থার কর্তা-কর্মীরা। তাই ভাসানচরে এতো সুযোগ সুবিধা তৈরি করার পরও রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে না চাওয়ার নেপথ্যে দেশী-বিদেশী এনজিও সংস্থাগুলো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এক পর্যায়ে এই উদ্যোগকে চাকরি মেলা নামের এক অভিনব ফাঁদ হিসেবে উল্লেখ করে তারা আরো বলেন, সংস্থাগুলো সরকারি উদ্যোগের ধার দ্বারে না এমনকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মানাও তারা প্রয়োজন মনে করে না এটা তাদের কর্মকাণ্ডে অতীতেও আমরা দেখেছি। এই ধরণের উদ্যোগ নেবার ক্ষেত্রে সরকারও খানিকটা তাদের উপর নির্ভরশীল সুতরাং এটা এতো জোর দিয়ে বলার মতো আহামরি কিছু না। বিশ্লেষণ করে দেখুন, নিজেরাই বুঝতে পারবেন। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এই মেলার কোনো সুফল নেই বরং লোক দেখানো এবং স্থানীয়দের মূখ বন্ধ করাটাই এখানে মূখ্য বিষয়।
এমতাবস্থায় স্থানীয় তরুণরা দাবী করেছেন,
যদি সত্যিই স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার মনমানসিকতা থাকে তাহলে একটা উপযুক্ত কমিটি গঠন করা হউক। কক্সবাজারে ক্যাম্প কেন্দ্রিক সামগ্রিক নিয়োগ প্রক্রিয়া উক্ত কমিটি মনিটরিং করার অধিকার রাখবে। প্রয়োজনে উক্ত কমিটিকে প্রশাসনিক ভাবে ক্ষমতায়ন করা হউক। আমরা মনে করি এটাই অধিকতর সহজ এবং উপযুক্ত সমাধান যদিও এমনটি তারা কখনোই হতে দিবে না। নিশ্চয় এই ভূলটা তারা করবে না।
অন্যথায় মেলা, দক্ষতা উন্নয়নসহ বিভিন্ন বাহানা তৈরির মধ্য দিয়ে স্থানীয়দেরকে একটা ধাঁধার মধ্যে ফেলে রাখা ছাড়া এটা আর কিছু না। দীর্ঘদিন ধরে নিজেরদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে প্রশাসনের উপযুক্ত সহায়তা ও হস্তক্ষেপ চেয়ে আসছেন স্থানীয়রা। তারা এখনো আশাবাদী যে, প্রশাসন তাদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
উল্লেখ্য যে, চাকরিতে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়ার দাবীতে উখিয়া-টেকনাফে আন্দোলন চলমান রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। মূলত তারই পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও দেশী-বিদেশী এনজিও সংস্থাগুলোর যৌথ উদ্যোগে এ মেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ২ মে থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়ে ৪ মে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ “ঘূর্ণিঝড় ফনীর” কারণে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত মেলা স্থগিত রাখা হয়। এই চাকরি মেলায় কক্সবাজার জেলার ৮ টি উপজেলা হতে চাকরি প্রত্যাশী তরুণদেরকে রেজিস্ট্রেশন বা আবেদন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
লিখাটি hasan m towhid এর ফেসবুক আইডি থেকে সংগৃহীত