উখিয়ায় বিএনপি অফিস ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আটক হয়ে সদ্য জেলফরত আওয়ামী লীগ নেতা ছৈয়দ আলম এবার আটক হলেন ইয়াবা নিয়ে।
শনিবার মধ্যরাতে উখিয়া থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়াপাড়া থেকে তাঁকে আটক করে।এ সময় তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার গভীররাতে উখিয়ার ফলিয়া পাড়ায় অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামী ছৈয়দ আলম (৪২) কে আটক করা হয়। এসময় তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ছৈয়দ আলম উখিয়ার ফলিয়াপাড়ার বাসিন্দা মৃত নাসিম এর ছেলে।
ওসি আরও জানান, আটক ছৈয়দ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে, সে আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলো, ফলিয়াপাড়া এলাকায় নিজস্ব গ্যাং তৈরি করে সাধারণ মানুষজনকে নানাভাবে হয়রানি করতেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে ছৈয়দ আলম আরো বেপরোয়া হয়ে যায়।
সূত্র বলছে, আটক ছৈয়দ আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের খুলশি থানায় একটি, উখিয়া থানায় বিস্ফোরক ও মাদক আইনে ২ টি মামলাসহ সর্বমোট ৪ মামলার আসামী সে।
এলাকাবাসী বলছে, ছৈয়দ আলম আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে মানুষজনকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন, মাদক, অস্ত্র এবং মিয়ানমারভিত্তিক চোরাচালানের একাধিক সিন্টিকেট গড়ে তুলেছে সে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, ছৈয়দ আলমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন। সরকার পতনের পরেও তাঁর ভয়ে এলাকায় ফিরতে পারছেন না তাঁরা।
ফলিয়াপাড়ার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আটক ছৈয়দ আলম মিয়ানমার থেকে অস্ত্র এনে বাড়িতে মজুদ রেখে সেগুলো আবার ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদেরকে সরবরাহ করতেন।
সম্প্রতি ক্যাম্পে যৌথবাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করলে আরসার শীর্ষ একনেতা তাঁর বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন, এ ছাড়া ক্যাম্পকেন্দ্রিক একাধিক মাদক সিন্ডিকেটের সাথে তাঁর সখ্যতা আছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
এদিকে তাঁর আটকের খবর পেয়ে এলাকাবাসী মিষ্টিও বিতরণ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।