উখিয়ার জালিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এক স্কুল ছাত্রীকে দুই দফা অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণকারীর কবল থেকে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট ফরিয়াদ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৩ মে)।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন স্কুল ছাত্রীর বাবা। তিনি এ ঘটনায় জালিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব পাইন্যাশিয়া চরপাড়ার আবু তাহের মিস্ত্রি ছেলে বখাটে হেলাল উদ্দিনকে দায়ী করেছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল স্কুল ছাত্রী প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে যাওয়ার জন্য সকালে ঘর থেকে বের হয়। বিকেলে বাড়িতে ফেরার পথে অপহরণের শিকার হন ওই ছাত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল ঈদের দিন সোনারপাড়া নানার বাড়ীতে যাওয়ার পথে সোনাইছড়িতে পৌঁছলে অপহরণের শিকার হয় স্কুল ছাত্রী। একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজি যোগে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় ডায়েরি লিপিবদ্ধ করে স্কুল ছাত্রীর বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে অপহরণের ৩ দিন পর গত ২৪ এপ্রিল ইনানী ইকোছড়ি রির্সোট থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া স্কুল ছাত্রী পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে পুলিশের নির্দেশে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে ভর্তি করে। হাসপাতালের মেডিকেল সার্টিফিকেট যৌন হয়রানি ও ধর্ষনের আলামত সনাক্তের কথা উল্লেখ করেন।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতার বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (০২ মে) কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে একমাত্র আসামি করা হয় সন্ত্রাসী হেলাল উদ্দিনকে।
এদিকে পিতা অভিযোগ করে বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামি হেলাল মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে বলেছে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে তোমার মেয়ে কে পুণরায় অপহরণ করে গুম এবং তোমাকে জীবনে শেষ করে দেওয়া হবে। পরিবারের অভিযোগ, আদালতে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পুণরায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছে।