রাজধানীর বিমানবন্দর থানা এলাকায় তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ উখিয়ার বহুল আলোচিত ইয়াবা কারবারি মাহমুদুল হকসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
আরও পড়ুন:: উখিয়ার ইয়াবা গড়ফাদার মাহমুদুল হক প্রকাশ্যে
উখিয়ায় পুলিশের জালে ইয়াবা সহ আটক সোর্স মাহমুদুলের নেপথ্যে কারা!
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএনসি উত্তর কার্যালয়ের বিমানবন্দর সার্কেলের পরিদর্শক হোসেন জিল্লুর রহমান।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দর থানার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের নিচ তলার একটি মোবাইল সার্ভেসিং দোকানের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে তিন হাজার পিস ইয়াবা ও তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। পরে তাদের ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. ইলিয়াছ মিয়া (৩২), জয়নাল আবেদীন (৪০) ও মাহমুদুল হক (৩৪)।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের নিচ তলার পশ্চিম পাশের সিঁড়ির সঙ্গে থাকা নূরনবীর মোবাইল কেয়ার নামের একটি মোবাইল সার্ভেসিং দোকানের সামনে থেকে তাদের তিনজনকে আটক করে ডিএনসি উত্তরের বিমানবন্দর টিম। পরে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে,উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের দুছড়ি গ্রামের হতদরিদ্র আলীর ছেলে মাহমুদুল হকের উত্তাণটা এককথায় বিস্ময়কর,রুপকথার গল্পের মতো। দরিদ্র পিতার সংসারে অভাবের তাড়নায় ২০১৩ সালের দিকে সে মোবাইল অপারেটর কোম্পানী রবিতে চাকরী নেয়।বছরখানের রবি কোম্পনীতে চাকরী করার পর ২০১৪ সালের দিকে সে যোগ দেয় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিষ্টান বিকাশে।মুলত মাহমুদুল হকের উত্তাণটা বিকাশ থেকেই। বিকাশে এসআর হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সে জড়িয়ে পড়ে ইয়াবা ও হুন্ডি বানিজ্য।বিকাশে তার এলাকা ছিল পালংখালী,থাইনখালী,বালুখালী ও কুতুপালং বাজার।সীমান্তবর্তী এলাকায় যাতায়াতের সুবাধে তার সাথে সখ্য গড়ে উঠে সীমান্তের চিন্থিত ইয়াবা গড়ফাদারদের সাথে ।হাতে বিকাশের টাকা থাকার সুবাধে ইয়াবার চালান আনতে তাকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।
জানা যায়,মাহমুদুল হক সহযোগীসহ গ্রেফতার হলেও তার সিন্ডিকেটের অন্য দুই সদস্য রাজাপালং ইউনিয়নের খয়রাতি পাড়া গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে আতাউল্লাহ ও হাজির পাড়া এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে মির আহমদ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পাঠকের মতামত