উখিয়া উপজেলার স্টেশনগুলো যেন অঘোষিত টার্মিনালে পরিণত হয়েছে। স্টেশন গুলোতে দুপাশের সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন নোহা, টি আরএক্স,সিএনজি ও টমটম। প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তার দু,পাশে অবৈধভাবে গাড়িগুলো রাখায় স্টেশনগুলোতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই আছে। ঘটছে দুর্ঘটনা ট্রাফিক পুলিশ সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও কাঙ্খিত ফল আসছে না।
বিগত বছরগুলোতে সমিতি নির্ভর নোহা,টিআর এক্স,সিএনজি ও টমটমের বেপরোয়া চলাচলে জনজীবনে অস্থিরতা নেমে আসে। বিশেষ উখিয়া সদর,কোটবাজার,মরিচ্যা,কুতুপালং,পালংখালী,থাইনখালী সহ জনবহুল স্টেশনগুলোতে সমিতি গুলো বিভিন্ন গাড়ির অঘোষিত টার্মিনাল বানানোর ফলে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। তার ওপর মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে এ দেশের রোহিঙ্গা আগমনের ফলে এনজিওসহ বিভিন্ন গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। যা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খায়। শুধুমাত্র রাস্তার দুপাশে গাড়ি রাখার ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
উখিয়া উপজেলার যানজট নিয়ন্ত্রণে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বেশ কয়েকবার রাস্তার দুপাশে গাড়ি না রাখার সিদ্ধান্ত হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো সমিতিগুলো বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর ম্যানেজ করে তাদের অঘোষিত টার্মিনাল চালিয়ে যাচ্ছে। এমন কি রাস্তার দুপাশে জনগণ ও ছাত্রছাত্রী চলাচলের যে রাস্তা রাখা হয়েছে তাও দখল করে ফেলেছে সমিতি নিয়ন্ত্রিত গাড়িগুলো।
অনুসন্ধানে জানা যায়,বিগত কয়েক বছরে উখিয়া উপজেলায় নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ নোহা, টি আরএক্সসহ বিলাসবহুল গাড়ি এসেছে। যা রাখা হচ্ছে রাস্তার দুপাশে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নোহা মালিক বলেন, উখিয়ায় হাজারেরও অধিক নোহা ও টি আরএক্স গাড়ি রয়েছে। যার অধিকাংশ ইয়াবা কারবারের টাকায় কেনা। এমনও নোহা মালিক রয়েছে, যারা বিগত এক বছর আগে রিক্সা চালাতো। এখন দু’চারটা গাড়ির মালিক। এসব ব্যাপারে কেউ কোনদিন খবর নেয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মিজানুর রহমান বলেন,পরবর্তীতে পরিস্থিতিতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য। আসলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিপুল পরিমাণ গাড়ি, তার ওপর সড়কের উপর সড়কের দুপাশে হাজার হাজার সারি সারি গাড়ি। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের লোকবলও কম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসেন বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে সবকিছু করা হবে। প্রয়োজনে স্টেশন গুলোতে সড়কের দুপাশে রাখা গাড়ি সরিয়ে অন্যত্র নেয়া হবে। কোনমতেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না।
পাঠকের মতামত