দীর্ঘ সময়ের জল্পনা কল্পনা, আলোচনা- কর্মী,সমর্থকদের চুলছেড়া বিশ্লেষণ , পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে উখিয়া টেকনাফ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন শাহিন আক্তার৷।
লক্ষী আসন হিসেবে পরিচিত উখিয়া টেকনাফ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলাকায় প্রচলিত রয়েছে আসনটিতে যে দলের এমপি নির্বাচিত হন সে দলই সরকার গঠন করে। তার উপর বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থান, বিদেশি দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের বিচরণসহ দেশীবিদেশি এনজিওগুলোর অফিস থাকার কারণে আসনটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই এই আসনটি ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে স্নায়ু যুদ্ধ চলছিল। আগামী নির্বাচনে কে পাচ্ছেন নৌকার মনোনয়ন। এ নিয়ে কর্মীর সমর্থকদের মধ্যে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সবর প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
এদিকে প্রাপ্তি তালিকায় সম্ভাব্য যাদের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম, সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি, শাহীন আক্তার, জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,সোহেল আহাম্মদ বাহাদুর ও মাহবুব মোর্শেদ অন্যতম। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে পুরনোতেই আস্থা রাখলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই আসনের সাবেক সংসদ আব্দুর রহমানের বদি বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও এলাকায় তিনি দানশীল ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত।
প্রতিটি ইউনিয়নের জনগণের সাথে তার নিবিড় সম্পর্ক থাকার ফলে উখিয়া টেকনাফ দু উপজেলায় তার আলাদা সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতা থাকার কারণে গত নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেননি। এবারও তিনি যে প্রার্থী হতে পারবেন না ধরে নিয়েছিল তার সমর্থকরা। তবে বদির একটি আলাদা অবস্থান থাকায় আব্দুর রহমান বধির সমর্থকরা ধরে নিয়েছিলেন আব্দুর রহমান বদি মনোনয়ন না পেলেও গতবারের মতো তার স্ত্রী শাহীন শাহীন আক্তার উখিয়া টেকনাফ আসনে আবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন।
বদি সমর্থকদের ধারণা, উখিয়া টেকনাফ আসনে যিনি মনোনয়ন পাবেন বৌদির বাইরে গিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবেন না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। আবারো মনোনয়ন পেলেন আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী শাহিন আক্তার।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, নৌকা যারই হোক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যক্তিগত পছন্দের উর্দ্ধে দলের জন্য নিবেদিত থাকাই একজন আদর্শিক কর্মীর সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা।
তিনি বলেন, আভ্যন্তরীণ কাঁদা ছোড়াছুড়ি অথবা অতি উৎসাহী আচরণ পরিহার করে আসুন এবার এক হই স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায়। ফের আসবে বিজয়, ভালো থাকবে বাংলাদেশ।