কক্সবাজারের উখিয়ার থেকে ক্লুলেস হত্যাকান্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সংঘবদ্ধ অটো-রিখমা ছিনতাই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
বুধবার (০৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় উখিয়া উপজেলার পালংখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেফতারকৃত হল: রামু উপজেলার ০৩ নং ওয়ার্ড পানিরছড়া রশিদ নগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে মো. সেলিম (২৫) ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন ০৯ নং ওয়ার্ড চৌধুরীপাড়ার ছগির আহম্মদ এর ছেলে মো. আবছার (২৯)।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী জানায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে একটি অজ্ঞাত রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই র্যাব-১৫ অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় এবং হত্যা রহস্য উদঘাটনে কার্যক্রম শুরু করে। পরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করা হয়। নিহত মোরশেদ আলম, পেশায় অটোরিকশা চালক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, এটি একটি সংঘবদ্ধ অটো-রিকশা ছিনতাই চক্রের সংঘটিত হত্যাকান্ড।
“এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এই হত্যা মামলায় জড়িত আসামি মোর্শেদ এবং শাহ আলম কে গ্রেফতার করে। এই ঘটনার পর থেকে হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত অটো-রিকশা ছিনতাই চক্রের অপর দুই সদস্য সেলিম এবং আবছার আত্মগোপনে চলে যায়। আত্মগোপনে থাকা পলাতক আসামীদের অবস্থান এবং গতিবিধি র্যাব লক্ষ্য রাখছিল। কিন্তু তারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার এড়ানোর উদ্দেশ্যে বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।”
মো. আবু সালাম চৌধুরী জানায়, আত্মগোপনে থাকা পলাতক আসামীদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত করার পর বুধবার (০৮ মার্চ) ০৬টায় অভিযান নামে র্যাব। অভিযানে উখিয়ার পালংখালী এলাকা হতে ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামী মো. সেলিম ও মো. আবছার কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামীরা ভিকটিমকে হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতার আসামীদেরকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঈদগাঁও থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব কর্মকর্তা মো. আবু সালাম চৌধুরী।
পাঠকের মতামত