রতন কান্তি দে::
উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিলিং সুপার ভাইজার মীরা প্রভা ধর এর খুঁটিরজোর কোথায়?উক্ত অফিস কি গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার জন্য না মানুষের সাথে দূ্রব্যবহার অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে?এ জিজ্ঞাসা উখিয়ার গ্রাহক সহ সকলের।
তার রোষানলের শিকার ভুক্তভোগী অনেক গ্রাহকদের কয়েকজনের মধ্যে একজন কুতুপালং এর শিক্ষক রতন বড়ুয়া, অভিযোগ করেন গত কয়েক দিন আগে বিলিং সেকশনে গিয়ে তার মিটার ও বিল সম্পর্কে তথ্য জানতে যায়।এসময় প্রায় ১ টা বাজে।এক পযার্য়ে বিএস মীরা প্রভা ধর কোন কারণ ছাড়া হটাৎ উত্তেজিত হয়ে অফিস থেকে উপস্থিত সকল গ্রাহকদের বের হয়ে যেতে বলেন।চড়াও হয়ে দূরব্যবহার শুরু করেন। বের না হলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করবেন।
এসময় উপস্থিত মাষ্টার রতন বড়ুয়া
তাঁকে বলেন দিদি আপনি শান্ত হউন এখানে তো কোন কিছু হয়নি আপনি এধরনের আচরণ করছেন কেন? আমরা সবাই কাজ সেরে চলে যাব।তিনি কোন কথায় শুনতে চাচ্ছেন না। উত্তরে বলেন আপনাদের কোন কাজ থাকলে সকাল ১০টার মধ্যে আসবেন। একটার পর কোন সেবা পাবেননা। এর বাইরে কোন অভিযোগ থাকলে ডিজিএম কে বলেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাকে দেন কি হয় দেখি।রতন বড়ুয়া চরম অপদস্ত ও অপমানিত হয়ে এ ঘটনা টি এজিএম কে বলেন কারণ এ সময় ডিজিএম ছুটিতে ছিলেন। তার পরামর্শে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ ও দেন।
প্রায় মাস পেরিয়ে গেলেও উক্ত অভিযোগের কোন ব্যবস্হা নেওয়া হয়নি। এঘটনার পর তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্হা না নেওয়ায় সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে।স্হানীয় এক ইউপি সদস্যসহ বেশ কয়েকজনের সাথে দূরব্যবহার ও খারাপ আচরণ করে। তার আচরণ দেখে সেবা পেতে যাওয়া অনেকে মনে করেন তিনি উক্ত অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তি। উপজেলা বিভিন্ন স্তরের সুধীমহল, গ্রাহকদের জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন সামান্য একজন বিলিং সুপার ভাইজার তাও আবার মহিলা তার খুঁটির জোর কোথায়? কিসের এত ক্ষমতা।
সরকারি নিয়মে পল্লী বিদ্যুতের অফিস সময় হচ্ছে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। কিন্তু গ্রাহকদের দশটার মধ্যে না গেলে সেবা পাবে না এই নিয়ম তিনি কোথায় পেলেন? তিনি কি পল্লী বিদ্যুৎ অফিস উখিয়ায় নতুন অফিস সময়সূচী চালু করেছেন নাকি?
অথচ সরেজমিন অনেক সময় দেখা যায় বর্তমান ডিজিএম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে গ্রাহকদের ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। উক্ত বিএস এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মোঃইব্রাহিমের কাছে। তিনি জানান উক্ত বিএস এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ অবগত হয়েছেন।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। তাকে আরও অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।