নিউজ ডেস্ক::
মাদক বিরোধী অভিযানের শুরু থেকে আত্বগোপনে থাকা উখিয়ার শীর্ষ ইয়াবা ডন মাহমুদুল হক আবার প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কানাঘোষা চলছে। অনেকেই বলছে,প্রসাশনের কতিপয় সদস্যের ইঙ্গিতে মাহমুদুল হক আবার প্রকাশ্যে ইয়াবা বানিজ্যে নেমেছে।
জানা যায়,মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হলে উখিয়া মসজিদ মার্কেটের বিছমিল্লাহ ট্রেডার্স নামক ২ টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান থেকে আত্বগোপনে চলে যায় উখিযার চিন্থিত ইয়াবা গড়ফাদার মাহমুদুল হক। এর মধ্যে একটি দোকান তার ভাইয়ের মাধ্যমে খোলা রাখা হলেও অন্য দোকানটি এখনো বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। কিন্ত দোকান বন্ধ রাখলেও দীর্ঘদিন আত্বগোপনে থাকার পর অদৃশ্য ইশারায় গত কিছুদিন ধরে আবরো এলাকায় বিচরন করছে মাহমুদুল হক। দিনের বেলায় দুছড়ি নিজ বাড়ীসহ আত্বীয় স্বজনদের বাড়ীতে থাকলেও সন্ধ্যার পর সে মটর বাইক নিয়ে বের হয় বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। সন্ধ্যায় বের হয়ে মাহমুদুল হক কুতুপালং ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা বানিজ্য তদারকি করে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পুরোনো ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যেতে সে ম্যানেজ করেছে দুর্নীতিবাজ আইনশৃংখলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে। এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে মোটা অংকের টাকার কন্টাক নিয়ে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করেছে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের কথিত সোর্স হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করা বর্তমানে উখিয়া থানা পুলিশের কথিত সোর্স হিসেবে কর্মরত সীমান্তে এরাকার তুমব্রুর ইউছুপ আলী। এই ইউছুপ আলীর বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ। তার সাথে ইয়াবা গড়ফাদারদের গোপন আতাঁত। ইউছুপের মাধ্যমে অভিযানের খবর ইয়াবা গড়ফাদাররা পেয়ে থাকে বলে বিভিন্ন সুত্রে প্রকাশ।
খোজখবর নিয়ে জানা গেছে,উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের দুছড়ি গ্রামের হতদরিদ্র মোহাম্মদ আলীর ছেলে মাহমুদুল হকের উত্থানটা এককথায় বিস্ময়কর। ২০১৩ সালের দিকে দরিদ্র পিতার অভাবের দরুন সংসারের দ্বায়িত্ব এসে পড়ে মাহমুদুল হকের উপর। অল্প বেতনের চাকরি পায় মোবাইল অপারেটর রবিতে। বছর খানের রবিতে চাকরি করার পর ২০১৪ সালের দিকে ব্রাকের প্রতিষ্টান বিকাশে যোগ দেয় মাহমুদুল হক। বিকাশে এসআর হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সে জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা বানিজ্যে। হাতে বিকাশ বিত্রিুর মোটা অংকের টাকা থাকায় প্রথম পর্যায়ে তাকে টাকার জন্য খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি। মুলতঃ বিকাশ থেকেই মাহমুদুল হকের ইয়াবা বানিজ্যে হাতেকড়ি। এরপর থেকে তাকে আর পেছর ফিওে থাকাতে হয়নি। সিন্ডিকেট ভিত্তিক ইয়াবা ব্যবসা করে অল্প সময়ের ব্যবধানে হযে যায় কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক। নামে-বেনামে একাধিক জায়গা জমি ছাড়াও নোহা ও মাইত্রেুা কিনে নেয় বেশ কয়েকটি। অল্প বয়সে,অল্প সময়ে মাহমুদুল অকল্পনীয় উত্থান এলাকার সবার মুখে মুখে থাকলেও বারবার সে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ম্যানেজের মাধ্যমে পার পেয়ে গেছে। সাম্প্রতিক ইয়াবা বিরোধী অভিযানের সময় মাহমুদুল হক আত্বগোপনে চলে যায়। কিন্ত এবারও কথিপয় পুলিশের দুর্নীতিবাজ সদস্যকে ম্যানেজের মাধ্যমে সে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে পুলিশের ভূমিকা ব্যাপক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে,চিন্থিত মাদক ব্যবসায়ীরা দেশের শত্রু,সমাজের শত্রু। তাদেও কোন ছাড় নেই।
পাঠকের মতামত