উখিয়ার সমূদ্র উপকূল মাদারবনিয়া গ্রাম এখন আতংকের জনপদে পরিনত হয়েছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, রাহাজানি ও ইয়াবা ব্যবসা সহ নানান অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাধারণ জনগন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এমন কি সষন্ত্র চিহ্নিত ডাকাত গ্র“পের প্রকাশ্যে মহড়া দেওয়ায় গ্রামবাসী জিম্মী। এসব অপরাধ কর্মকান্ড জেলে বসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডাকাত সর্দার কাশেম ও মোস্তাক বাহিনী। এব্যপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসীরা জানান জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবনিয়া গ্রামের দলিলুর রহমানের পুত্র আবুল কাশেম, মো: ছৈয়দের পুত্র মোস্তাক, জাহাঙ্গীর, কালা মুনিয়া ও ছলিমের নেতৃত্বে একটি সষস্ত্র বাহিনী হয়েছে। মাদারবনিয়ার গহীন পাহাড়ে আস্তানা রয়েছে। তাদের আস্তানায় অসংখ্য ভারী অবৈধ মজুদ থাকে। এমনকি অস্ত্র তৈরি ও বেচা-কেনা হয়। এছাড়াও মাদক ব্যবসাও পরিচালনা করে তারা। তাদের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো গ্রামবাসীদের কে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় সন্ত্রসীরা। বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় শংকিত জীবন যাপন করছে সাধারণ লোকজন।
গ্রামবাসীরা আরো জানান দীর্ঘদিন ধরে পেশাদার একটি সশস্ত্র ডাকাত গ্রুপ ফালংখালী-ছেপটখালী সড়কে বনের ঢালায় যানবাহন ডাকাতি করে আসছিল। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে ১০/১২ জনের ডাকাত দল দিন দুপুরে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে যানবাহন ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। ওই সময় ছেপটখালী এলাকার ইউনুছ আলীর পুত্র আকতার তার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট দিয়ে সশস্ত্র ডাকাত দলের ডাকাতির ঘটনার ভিডিওর মাধ্যমে চিত্র ধারণ করেন।
এদিকে ডাকাতদলের সদস্যরা ভিডিও ধারণের দৃশ্যটি দেখে ফেললে চিত্র ধারণকারী আকতারকে অপহরণ করে জঙ্গলে নিয়ে অমানষিক নির্যাতন চালায়। ঘটনাটি স্থানীয় কাঠুরিয়া দেখে চিৎকার দিলে পার্শবর্তী লোকজন এসে মুমুর্ষ অবস্থায় আকতারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে ডাকাত দলের অবৈধ অস্ত্রের মহড়া ও ডাকাতির ভিডিওর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হলে প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ব্যপারে উখিয়া থানায় ডাকাত দলের সর্দার মোস্তাক, আবুল কাশেম ও কালা মুন্না সহ ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
অভিযোগে প্রকাশ ডাকাত দলের গ্যাং লিডার আবুল কাশেম ও ডাকাত সর্দার মোস্তাকের নেতৃত্বে বিশাল একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তাদের হাতে রয়েছে ভারী, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। মোস্তাক ও কাশেম বাহিনীর হাতে মাদারবুনিয়া, ছেপটখালী ও মনখালী সহ সমুদ্র উপকুলীয় মানুষ জিম্মি রয়েছে। তবে বর্তমানে ডাকাত কাশেম কারাগারে থাকলেও তার নির্দেশে সহযোগীরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নানান অপরাধ করে যাচ্ছে।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায় আবুল কাশেম সু-কৌশলে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আবেদন নাঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্থির নিঃশ্বাস আসে।