হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ ::
উখিয়া কোটবাজারের বাসিন্দা পাষান্ড স্বামী ছৈয়দ মিস্ত্রী টেকনাফে ঘুমন্ত স্ত্রী ৪ পুত্র সন্তানের জননীকে পরিকল্পিতভাবে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২২ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মায়মুনা সরকারী প্রাইমারী স্কুলের নিকটবর্তী পৌর এলাকা ২ নম্বর ওয়ার্ড পুরান পল্লানপাড়া আবদুস শুকুরের ভাড়া বাসায় ঘটেছে এঘটনা। ঘটনার পর পরই ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়। স্বামীর ছুরিকাঘাতে নিহত গৃহবধু রাশেদা বেগম (৩০) নিকটস্থ নাইট্যংপাড়া মৃত মৌলভী বেলালের মেয়ে।
সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায়, উখিয়া উপজেলার কোটবাজার তুতুরবিল নুর মোহাম্মদের ছেলে ছৈয়দ আহমদ মিস্ত্রী টেকনাফ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পৌর এলাকা ২ নম্বর ওয়ার্ড পুরান পল্লানপাড়া আবদুস শুকুরের ভাড়া বাসায় গত ৩ মাস ধরে সপরিবারে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে আসছিল। উখিয়া উপজেলার কোটবাজারের বাসিন্দা ছৈয়দ আহমদ মিস্ত্রী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। রাশেদা বেগম (৩০) তার ২য় স্ত্রী। আবার ছৈয়দ আহমদ মিস্ত্রীও রাশেদা বেগমের ২য় স্বামী। গত প্রায় ৩ বছর আগে তাদের বিয়ে হলেও কোন সন্তান এখনও হয়নি। প্রথম স্বামী মৌলভী ইয়াসিন পাসপোর্ট আইনে আটক হয়ে বর্তমানে বান্দরবান কারাগারে রয়েছেন। প্রথম স্বামীর ঔরষজাত ৪ জন শিশু পুত্র যথাক্রমে ওবাইদুর রহমান (১১), আনোয়ার ছাদেক (৯), রিদুয়ান ছাদেক (৭), ওমর ছাদেক (৫) মায়ের সাথেই থাকে। প্রতি দিনের ন্যায় রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়ে। স্বাস্থ্যবান স্ত্রীর সাথে শক্তিতে কুলিয়ে উঠবেনা ধারণায় অপেক্ষাকৃত কম স্বাস্থ্যবান ছৈয়দ আহমদ মিস্ত্রী ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত জুস স্ত্রীকে খাওয়ানোর পর রশি দিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীকে বেঁধে ২২ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে পেঠে ছুরিকাঘাত করে। শোর-চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসার আগেই ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়। ছুরিকাহত গৃহবধু রাশেদা বেগমকে (৩০) দ্রুত টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর বিধায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। কক্সবাজার নেয়ার পথে রাশেদা বেগম মারা যান। রাশেদা বেগমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আলহাজ্ব আবু হারেছ জানিয়েছেন। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ##