উখিয়া নিউজ ডটকম::
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে যাত্রীর সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন যানবাহন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক অবৈধ ভাবে গাড়ী পার্কিং করে যাত্রী পরিবহনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিক ও চালক সংগঠনের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। এ নিয়ে সিএনজি চালকদের মারধর করে তাদের গাড়ী গুলো দিনভর আটকিয়ে রাখার প্রতিবাদে উখিয়া সিএনজি, সী- লাইন ও কক্সলাইন শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করলে অচল হয়ে পড়ে কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গত বুধবার উভয় পক্ষদের নিয়ে বৈঠক করে ঘটনার সুষ্ট সমাধানের আস্বস্থ করলেও তা হয়নি। এঘটনা নিয়ে যে কোন সময়ে ফের সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষসহ পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশংকা করছে পরিবহন সেক্টরের নেতা কর্মীরা।
উখিয়া সিএনজি চালক সমবায় সমিতির সভাপতি মোকতার আহম্মদ চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, উখিয়ার সিএনজি গুলো কক্সবাজার পেট্রোল পাম্প এলাকায় অবস্থান করে উখিয়া মুখী যাত্রী পরিবহন করে আসছে যুগযুগ ধরে। গত মঙ্গলবার সন্ধায় কক্সবাজারস্থ একটি পরিবহন সংগঠনের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা ১৮-২০টি সিএনজি আটকে রেখে চালকদের মারধর করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসময় উখিয়ার শতশত সিএনজি ও সী- লাইন কক্সলাইন মালিক শ্রমিকসহ সংগঠনের নেতা কর্মীরা প্রচন্ড ক্ষোভে ফেঠে পড়ে উখিয়া খেলার মাঠ এলাকায় সড়ক অবরোধ করলে কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক অচল হয়ে পড়ে। এসময় উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীদের নিয়ে উখিয়ার সহকারী কমিশনার ভুমি অফিসে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ^স্থ করলে শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। পরে ভুমি কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামানের সাথে বৈঠক করে গত বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে উভয় পক্ষদের নিয়ে বৈঠক করে একটি স্থায়ী সমাধানের আশ^স্থ করেন। সিএনজি চালক সমবায় সমিতির সভাপতি মোকতার আহম্মদ চৌধুরী গত বুধবার যথাসময়ে উখিয়া থানার ওসি তদন্ত মোঃ খায়রুজ্জামানের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, কক্সবাজারস্থ স্পেসাল সার্ভিসের মালিক গ্রুপ কক্সবাজারের বৈঠক করার কথা বলেল উখিয়াস্থ শ্রমিক সংগঠন তাদের কথায় সায় না দিয়ে বলেন, যে খানে ঘটনার উৎপক্তি হয়েছে সেখানে বৈঠক করতে হবে। ফলে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক হয়নি। এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার ওসি তদন্ত খায়রুজ্জামান জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল খায়ের ছুটিতে আছেন। তিনি আসলে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে। তৎসময় পর্যন্ত উভয় পক্ষকে কোন প্রকার জটিলাবস্থার সৃষ্টি না করার জন্য নির্দেশ দিলেও স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে প্রচন্ড ক্ষোভ ও উত্তেজনা।
সীÑ লাইন কক্সলাইন মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক বাদশা মিয়া জানান, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা থাইংখালীতে যানবাহনের চাপে সাধারন পথচারী চলাফেরা করতে পারছেনা। এমতাবস্থায় কক্সবাজারের স্পেসাল সার্ভিসের মালিক গ্রুপ তাদের সংগঠনের যানবাহন গুলো সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে থাইংখালীতে স্থায়ী পার্কিং করে যাত্রী পরিবহনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে তারা তাদের শ্রমিক দিয়ে উখিয়ার গাড়ী গুলো দিনভর জিম্মি করে রেখে শ্রমিকদের মারধর করে। কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন সংগঠনের নেতা কর্মীদের এহেন আচারন নিয়ে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য সংঘর্ষ ও সড়ক অবরোধেরমত নেক্কারজনক ঘটনার যেন পূনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য উখিয়ার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধুরা যানবাহন মালিক পক্ষকে বা নেতৃবৃন্ধুদের সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়েছেন।