উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া গ্রামে জনচলাচলের রাস্তা কাটাকে কেন্দ্র সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে।২৪ জুন সরেজমিনে জানা যায়, বিগত ১০/১২দিন পূর্বে স্থানীয় মৃত ইমাম উদ্দিনের পুত্র ছালেহ আহমদ, মকবুল আহমদ, মোহাম্মদ হোছন ও তার পুত্র আবদু শুক্কুর দীর্ঘ ২০-২৫ বছরের জনচলাচলের রাস্তাটি কেটে কাটা তার দিয়ে ঘেরাও করে রাখে। এ বিষয়ে একই এলাকার আবদু রশিদের পুত্র আলাউদ্দিন উখিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমদ চৌধুরী ও জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীর বরাবরে অভিযোগ করলে ৩ দফা বৈঠকের পরও তাদের রায় অমান্য করে মর্মে উর্ধ্বতন আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে বলেও আলাউদ্দিন জানান।
একই এলাকার রাস্তা সংলগ্ন আবদুল করিমের স্ত্রী তসলিমা আকতার জানান, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মৃত ইমাম উদ্দিনের পুত্রগণ ও নাতী একযোগে বিগত ২০ বছরে পুরনো রাস্তাটি কেটে জনচলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। এ রাস্তা দিয়ে কি পরিমাণ মানুষের যাতায়াত করে জানতে চাইলে স্থানীয় বয়: বৃদ্ধ মহিলা রেহেনা আকতার ২০/৩০ পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বলে জানায়।
রাস্তা কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত ইমাম উদ্দিনের পুত্র মকবুল আহমদ বলেন, প্রথমত: অপর দিকে সরকারি রাস্তা থাকা স্বত্বেও উক্ত রাস্তাটি শুধুমাত্র ১ পরিবার বিকল্প রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে। তাছাড়া অভিযুক্ত রাস্তাটি পৈত্রিক ওয়ারিশী সুত্রে আমাদের জোত স্বত্ত্বীয় অংশ হিসেবে ভিটা-বাড়ী করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জালিয়াপালং ইউ.পি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী রাস্তা কাটা নিয়ে ২/৩বার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি অমীমাংসিত হওয়ায় উর্ধ্বতন আদালতে আশ্রয় গ্রহণের কথাও তিনি জানান। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে রাস্তা কাটাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। ফলে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছে সচেতন এলাকাবাসী।