[caption id="attachment_8123" align="alignleft" width="478"] উখিয়ার পালংখালীতে বনবিভাগের জায়গার উপর নির্মিত বহুতল ভবন[/caption]
ফারুক আহমদ, উখিয়া::
উখিয়ার পালংখালীতে সরকারী বনভূমিতে অবৈধ স্থাপনা তৈরীর প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। প্রভাবশালী বনদস্যুরা প্লট আকারে বনভূমি বিক্রি করলেও বন বিভাগের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে সচেতন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় কর্তৃপক্ষের নাগের ডগায় অবৈধ ভাবে বহুতল ভবন তৈরী করার ঘটনা রীতিমত তোলপাড় দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন থাইংখালী বনবিটের অধিনে সংরক্ষিত বিশাল বনাঞ্চল সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু জবরদখল করে নিয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্লট আকারে বিভিন্ন জনকে উক্ত বনভূমি বিক্রি করে। উক্ত সরকারী জায়গায় শত শত অবৈধ স্থাপনা তৈরী যেন সচেতন মহলে হতভাগ বনে গেছে। গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে পালংখালী ষ্টেশনের সামান্য উত্তর পার্শ্বে আরকার সড়কের লাগোয়া সরকারী বন বিভাগের জায়গার উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করে বাসাবাড়ি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তার রাষ্টন কুমার দেবনাথ নামক জৈনক ব্যক্তি ক্ষমতা প্রভাব দেখিয়ে বন বিভাগের জায়গা জবরদখল করে বহুতল ভবন নিমার্ণ করে। স্থানীয় সচেতন জনগণ জানান, বন বিভাগকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে সরকারী জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা বা বহুতল ভবন নিমার্ণ করেছে তিনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ডাঃ রাষ্টন কুমার দেবনাথ বহুতল ভবনটি সরকারী বন বিভাগের উপর অবৈধ ভাবে নির্মাণের কথা সত্যতা স্বীকার করেন। বন বিভাগ উচ্ছেদ করলে তিনি চলে যাবেন। তবে এই নিয়ে পত্রিকায় ভালোভাবে রিপোর্ট করলেও তার কিছু যায়-আসে না। অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে বনভূমি জবরদখলকারী রাষ্টন কুমার দেবনাথ হচ্ছে ভুমিদস্যু চক্রের অন্যতম সিন্ডিকেট। তার নেতৃত্বে পালংখালী এলাকায় বহু বনভূমি জবরদখল করে একের পর এক দালান বা বহুতল ভবন তৈরী করলেও বন বিভাগ তার কাছে অসহায়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন সরকারী বনভূমি জবর দখল ও অবৈধ স্থাপনা তৈরী যত বড় ক্ষমতা ধর ব্যক্তি হোক না কেন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে তা গুটিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও রাষ্টন কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে বনভূমির উপর বহুতল ভবন নির্মাণ বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে পালংখালীর বিশাল বনভূমিতে প্রায় ১ হাজারের অধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সরকারী বনভূমি জবর দখল করে এসব স্থাপনা বা বসতবাড়ি তৈরী করেছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বনভূমি বেদখলমুক্ত করার জন্য বিভাগীয় বনকর্মকর্তার নিকট দাবী জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।