বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত কক্সবাজার জেলার উখিয়ার উপকূলীয় ইনানীর চেংছড়ি গ্রামের ফেলোরাম চাকমার সেই বাড়িটি শিগগিরই রূপ নিচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে। পাশাপাশি একটি পরিপূর্ণ পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ১৯৫৮ সালের কোনো এক সময় এই বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৫ আগস্ট ফেলোরাম চাকমার বাড়িটি সংরক্ষিত স্থান হিসেবে ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ থেকে জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই বাড়িটি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে রূপ দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ফেলোরাম চাকমা আজ বেঁচে নেই। তবে বাড়িটি সংরক্ষণের খবর শুনে তার বংশধর ৬০ বছর বয়সী নাতি রবিঅং চাকমা আনন্দে দু’চোখের জল ফেলেছেন। উখিয়া নিউজ ডটকম::পাশাপাশি সেই স্থানের আটটি আদিবাসী পরিবারের মধ্যেও আনন্দের বন্যা প্রবহমান বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ওই ঘটনার সাক্ষী, বঙ্গবন্ধুর সেবক স্থানীয় সোনারপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হাকিম মাস্টার ও উখিয়ার খয়রাতিপাড়ার শতাবর্ষী আবদুল খালেক আজও বেঁচে আছেন। তবে বঙ্গবন্ধুকে যে বৃদ্ধা রান্না করে খাওয়াতেন, সেই ছখিনা বেগম মারা গেছেন দুই বছর আগে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূলীয় ইনানী চেংছড়ি গ্রামে ১৯৫৮ সালের কোনো এক সময় সাম্পানে করে এসে ফেলোরাম চাকমার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর পর থেকে বঙ্গবন্ধুর অমর স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি অবহেলিত থেকে যায়। কিন্তু কয়েক বছর আগে গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।উখিয়া নিউজ ডটকম:: ফলে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসা বহুল আলোচিত বাড়িটি আলোর মুখ দেখতে চলেছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার ১৫ আগস্ট চেংছড়ি গ্রামে গিয়ে ফেলোরাম চাকমার বংশধরদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি সরকারিভাবে সংরক্ষণের ঘোষণা দেন। এদিন তিনি ফলকও উন্মোচন করেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, ফেলোরাম চাকমার বাড়িটি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে ধরে রাখা হবে। জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন ফেলোরাম চাকমার বাড়ি জাদুঘরে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আশা করছি চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার শেষ করে জাদুঘরে রূপান্তর করা যাবে। তারপর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এই জাদুঘর।বাংলাদেশ প্রতিদিন
পাঠকের মতামত