উখিয়া নিউজ ডেস্ক ::
ইয়াবা মামলায় জামিন জালিয়াতির দায়ে হাইকোর্টের বেঞ্চ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের কোন আদেশ না হওয়া সত্ত্বেও এই মামলার আসামি এবং অন্যান্য স্বার্থান্বেষী মহলের কারসাজি ও সহায়তায় জাল-জালিয়াতিপূর্ণ রুল এবং জামিন আদেশ তৈরি করায় তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। ওই নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ওই কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের আদেশ জারি করেন। একই সঙ্গে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বছরের ২৬ জুন বকতার আহমেদকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ রাজধানীর খিলগাঁও থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বকতারের বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী গ্রামে। এই মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৬ এ বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ওই আসামি। কিন্তু জামিন আবেদনটি শুনানি হয়নি। শুনানি না হওয়ার পরেও বেঞ্চ কর্মকর্তা রফিকুল হাইকোর্টের দু’জন বিচারপতির সাক্ষর জাল করে জামিন আদেশ প্রস্তুত করেন। ওই ভুয়া জামিন আদেশ বিচারিক আদালতে দাখিল করলে আসামি বকতার কারাগার থেকে মুক্তি পান। একই মামলার অপর আসামি নুরুল আলম টিটোও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানিতে মূল আসামি বকতারের জামিন পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয় তখনই এই ভয়াবহ জালিয়াতির ঘটনা ধরা পরে। এরপরই রফিকুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
ইত্তেফাক:
পাঠকের মতামত