[caption id="attachment_13610" align="alignleft" width="611"] কথিত চেয়ারম্যান আবু ছিদ্দিক[/caption]
নিউজ ডেস্ক::
অনুপ্রবেশকারী শরনার্থী কুতুপালং বস্তিতে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে চলছে সরব চাঁদাবাজি। স্বঘোষিত বস্তি ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সভাপতি নামধারী আবু ছিদ্দিকের ছত্রছায়ায় মইগ্যা নামের এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও তার ৪ সন্ত্রাসী ছেলেসহ ১০/১২ জনের একটি গ্র“প বিভিন্ন অজুহাতে রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার রাতে চাঁদাবাজির কর্তৃত্ব নিয়ে পিতা-পুত্রের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে মইগ্যাকে কুপিয়ে জখম করেছে তার সন্ত্রাসী ছেলে নুর হোসেন (৩৫)। গতকাল রবিবার বস্তি ঘুরে কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইউপি সদস্য বখতিয়ার আহমদ জানান, বস্তিতে বসবাসরত উলা মিয়ার ছেলে কালা মিয়া প্রকাশ মইগ্যা (৪৮) একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। সে তৎকালীন বস্তি ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সেক্রেটারী রাকিবুল্লাহর পিতা নাজমুল হক (৫৫) কে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এব্যাপারে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে মইগ্যা বস্তিতে আত্মগোপন করে।
জানা যায়, মইগ্যা ও তার ৪ সন্তান বস্তি এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। তাদের কথা মতো চাঁদা না দেওয়ায় বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারকে বস্তি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।
নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ডাক্তার ফয়সাল জানান, একাধিক মামলার আসামী কালা মিয়া ওরফে মইগ্যা বস্তিতে আত্মগোপন করে আবু ছিদ্দিকের সহযোগীতায় বিভিন্ন অজুহাত ধরে অসহায় রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা না দেওয়ায় ঝুঁপড়িঘর ভাংচুর ও মারধর করা হচ্ছে।
বিষয়টি কাউকে জানালে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গাকে স্বপরিবারে বস্তি ছাড়তে হচ্ছে। যে কারণে সরবে চাঁদাবাজির ঘটনা নিরবে থেকে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অসহায় রোহিঙ্গারা।
গত শনিবার রাতে চাঁদাবাজির কর্তৃত্ব নিয়ে মইগ্যা ও তার ছেলে নুর হোসেনের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী ছেলে নুর হোসেন তার পিতা মইগ্যাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, হত্যা ও একাধিক মামলার আসামী কালা মিয়া ওরফে মইগ্যাকে ধরতে পুলিশ ইতিপূর্বে ক্যাম্প এলাকায় বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। সুত্র কক্সবাংলা