[caption id="attachment_5694" align="alignright" width="502"] মাদ্রাসার সামনে দাড়ানো মিয়ানমার নাগরিক শিক্ষক দেলোয়ার[/caption]
নিউজ ডেস্ক::
রমজানের আগে যে চারজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁরা হলেন রত্না পালং ইউনিয়নের করইবনিয়া গ্রামের অজিউল্লাহর ছেলে সৈয়দ হামজা, হোসেন আলীর ছেলে কামাল উদ্দিন, মীর কাসেমের ছেলে ফরিদ আলম ও গোলাম হোসেনের ছেলে সৈয়দ হামজা ভুলু। ইতিমধ্যে তাঁরা এলাকায় ফিরে এসেছেন। তাঁরা দাবি করছেন, তাঁদের রাজশাহীর বাগমারা এলাকায় নিয়ে এক জঙ্গি নেতার কক্ষে আটকে রেখেছিলেন বেলাল। সুযোগ বুঝে এক ফাঁকে তাঁরা পালিয়ে আসেন।
গত ঈদের দিন থেকে ইউনুসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তার বাবা মোহাম্মদ হাশেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অর্থের লোভ দেখিয়ে বেলাল আমার ছেলেকে কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ত মাদ্রাসা বা জঙ্গিঘাঁটিতে নিয়ে গেছে বলে সন্দেহ হচ্ছে। ইউনুস সব সময় বেলালের মাদ্রাসাতেই পড়ে থাকত। বেলালের বিতর্কিত মাদ্রাসায় না যেতে তাকে অনেকবার বকাবকি করেছি। কিন্তু তাকে আটকানো যায়নি।’ ছেলের খোঁজ পেতে হাশেম উখিয়া থানায় যাবেন বলে জানান।
উখিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, জঙ্গি সম্পৃক্ততা বা এ-সংক্রান্ত সন্দেহভাজন কোনো ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে খবর পেলে তিনি অ্যাকশনে যাবেন। ওই মাদ্রাসার বিষয়ে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটির দিকে কড়া নজর রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনকেও তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী জানান, বেলালের মাদ্রাসা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকায় এলাকার লোকজনের সঙ্গে মাদ্রাসাটির তেমন যোগাযোগ নেই। তবে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ বেলাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এলাকার লোকজন এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি জঙ্গি সম্পৃক্ত কোনো কাজে জড়িত নই।’ তবে মাদ্রাসা ও মসজিদ পরিচালনায় অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর কালের কণ্ঠে দারুল হিকমা আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা নিয়ে ‘উখিয়া সীমান্তের একটি মাদ্রাসা নিয়ে শঙ্কা, অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। জানা যায়, বিদেশি অর্থায়নে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হচ্ছিল। মাদ্রাসার সঙ্গে স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা নেই। রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) লোকজন এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার সন্দেহভাজন অচেনা লোকজন মাদ্রাসাটির পরিচালনায় জড়িত। জেএমবির বাংলা ভাইয়ের চাচাতো ভাই পরিচয় দেওয়া মাওলানা জহিরুল ইসলাম নামের একজনও দীর্ঘদিন অবস্থান করেন মাদ্রাসাটিতে। সুত্র কালেরকন্ঠ