উখিয়ার হাট-বাজারে স্থায়ী ব্যবসায়ীদের দোকানে তল্লাশী চালানো হলে টন টন ভেজাল সেমাই উদ্ধার করা সম্ভব হবে। ঈদের ব্যাপক চাহিদার সুযোগে এসব ভেজাল সেমাই মজুদ করে বাজারজাত করছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। কেজি প্রতি ২/৩ টাকা কম পাওয়ার কারণে ক্রেতারা হামাগুড়ি দিয়ে কিনছে ভেজাল সেমাই। ব্যবসায়ীদের এসব প্রতারণার হাত থেকে ক্রেতাদের রক্ষার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবী করেছে।
ঈদ বাজারে বাড়তি আয়ের সুযোগে এক শ্রেণীর মৌসুমী সেমাই ব্যবসায়ী উখিয়ার অলি-গলি ও ফুটপাতে অহরহ খোলামেলাভাবে ভেজাল সেমাই বিক্রি করতে দেখা গেছে। হলুদ, লাল, নীল বর্ণের বিভিন্ন ক্ষতিকারক রং মেশানো এসব সেমাই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করলেও স্থানীয় চিকিৎসকেরা বলছেন, এসব সেমাই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক। বাজারের মৌসুমী সেমাই বিক্রেতা নুরুল ইসলাম জানান, সে পাইকারী ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ১/২ ঝুড়ি করে সেমাই কিনে তা বাজারে বিক্রি করে কেজি প্রতি ৩/৪ টাকা লাভ করেন। এসব সেমাই ভাল না খারাপ তা তার জানা নেই। বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী তপন বিশ্বাসের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের বাহিরে ও ভিতরে টন টন সেমাই মওজুদ রাখা হয়েছে। চাঁদের গাড়িতে করে কিছু কিছু সেমাই খুচরা বিক্রির নাম ভাঙ্গিয়ে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয় কয়েকজন জানালেন। নিন্মমানের কোম্পানির তৈরি এসব সেমাই বাজারজাত করা হচ্ছে কেন জানতে চাওয়া হলে তপন দাশ জানান, বিভিন্ন এলাকা হতে আগত খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য সেমাই মওজুদ রাখা হয়েছে। দামে কম তাই এসব সেমাইয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে দাবি করে সে আরো জানান, কেজি প্রতি ৪/৫ টাকা কম হলে গরীব ক্রেতারা খুশি হয়। তবে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের জন্য ভাল মানের সেমাইও রাখা হয়েছে বলে সে স্বীকার করেন। এভাবে অসংখ্য দোকানে মওজুদ রাখা হয়েছে ভেজাল সেমাই। এ ব্যাপারে আলাপ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈন উদ্দিন জানান, ভ্রামম্যান আদালতের মাধ্যমে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের শায়েস্তা করার জন্য অচিরেই মাঠে নামবে বাজার মনিটরিং কমিটি ও ভ্রাম্যমান আদালত।