উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ি খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু হওয়ায় প্রথম থেকেই দর্শকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। দীর্ঘদিন পর মাঠে দর্শক উপস্থিতির কারণে স্থানীয় জনগন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। স্থানীয় যুবসমাজ ও ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে। কারণ মাদক অধ্যুষিত উখিয়া উপজেলায় বিনোদন বলতে কিছু ছিল না। একদিকে রোহিঙ্গা সমস্যা, অন্যদিকে মাদক। এই দুটি বিষয় নিয়ে অভিভাবকরা সবসময়ই চিন্তিত,স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানের যুবসমাজকে খেলাধুলায় মনোযোগী হতে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়। যার ফলশ্রুতিতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ফুটবল,ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার প্রতিটিতে উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো।
এদিকে একটি সংঘবদ্ধচক্র রাজনৈতিক ও প্রশাসনের এ সুন্দর উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যখন মাঠে দর্শক আসতে শুরু করেছে, তখন তারা টিকিটের নামে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। পাতাবাড়ি মাঠে ফুটবল গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট এর শুরু থেকে টিকিটের নামে চাঁদাবাজিতে নেমেছে একটি মহল। ফুটবল টুর্নামেন্ট বাস্তবায়ন কমিটির নাম দিয়ে দিনু বড়ুয়া, আব্দুল কাদের,আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে খেলায় মাঠের দুই দিকে দুটি গেইট বসিয়ে জনপ্রতি ২০ টাকা টিকিট চাদাবাজি করা হচ্ছে। স্কুলের ছেলেরাও রক্ষা পাচ্ছে না তাদের হাত থেকে। জাতীয় মানের খেলা বা অন্যান্য এলাকায় স্কুলের ছাত্রদের ফ্রী খেলা দেখার ব্যবস্থা থাকলেও এখানে তার ব্যতিক্রম। নিয়ম নীতির কোন বালাই নেই, প্রশাসনের কোন তদারকিও নেই। যে যেভাবে পারছে জনগণের পকেট কাটছে।
স্থানীয় সুত্রমতে,আগের খেলা গুরু বাদ রেখে শুধু গত বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে দর্শক সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ হাজার। টিকিট চাদা থেকে আয় ৪ লাখ টাকা। শনিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও একই অবস্থা। দর্শক ২০ থেকে ২৫ হাজার। টিকেট চাদা থেকে আয় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। এ টাকা কোথায় যায় কেউ জানেনা।
এ ব্যাপারে টুর্নামেন্ট কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা আব্দুল কাদেরের মোবাইল নাম্বারে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।