প্রকাশিত: ২৫/১০/২০১৬ ৭:৫৮ পিএম

ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
উখিয়ার মরিচ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র আর ফহাদ ইসলাম অপহরণের ১ মাস ৩ দিন পর পাবনা থেকে উদ্ধার করেছে। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব অভিযান চালিয়ে গত সোমবার রাতে মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে অপহরকারী চক্রের সদস্যসহ অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কায়কিসলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উখিয়া থানার একদল পুলিশ উদ্ধারকৃত শিশুকে আনার জন্য পাবনায় রওনা দিয়েছেন।

জানা যায়, অপহৃত শিশু আর ফহাদ ইসলামের মা-বাবা দু’জনই মারা যায়। তাদের নাম হচ্ছে পিতা মৃত আবছার উদ্দিন ও মা মৃত রেহেনা বেগম। গ্রামের বাড়ী পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী। মামা জাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম ভাগিনা ফহাদকে লেখাপড়ার জন্য নানার বাড়ী মরিচ্যা গ্রামে নিয়ে আসে।

মরিচ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম জানান, গত ২২সেপ্টেম্বর স্কুলে আসার পথে শিশু শিক্ষার্থী ফহাদ অপহরণের শিকার হয়। বিষয়টি উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করা হয়। অপহৃত শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধারে জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র‌্যাবের সহযোগিতা চাওয়া হয়।

পারিবারিক ভাবে জানা যায়, মুন্নী আক্তার নামক এক আন্ত:অপহরকারী চক্রের নারী সদস্য শিশু ফহাদকে অপহরন করে মোটা অংকের মুক্তিপন দাবী করে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, অপহরনকারী দলের সদস্য ওই নারীর ব্যবহৃত  মোবাইল ট্রাকিং করে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পাবনা এলাকা থেকে অপহৃত শিশু ফহাদ কে উদ্ধার ও অপহরকারী দলের নারী সদস্য মুন্নী কে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে মরিচ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অপহৃত শিশু শিক্ষার্থী ফাহাদকে অবশেষে উদ্ধার করতে সক্ষম হওয়ায় জেলা প্রশাসন, র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি উখিয়া শাখার সভাপতি মাস্টার এস.এম কামাল উদ্দিন ও সহ-সম্পাদক এবং মরিচ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম। নেতৃবৃন্দরা এক বিবৃতিতে বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর আন্তরিকতা ও সফল সাহসিক অভিযানের কারণে অপহৃত শিশু শিক্ষার্থী অপহরণকারীর কবল থেকে উদ্ধার হয়েছে।

পাঠকের মতামত