উখিয়ায় আধুনিক পদ্ধতিতে আউশ ধান চাষাবাদে ভালো ফলন উৎপাদন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এতে করে ফলন উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। আবহাওয়ার পরিবেশ অনুকূল থাকায় ও সঠিক পরিচর্যায় আশাতীত ফলন ঘরে তুলতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষীরা।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে , জালিয়া পালং, রত্না পালং, হলদিয়া পালং, রাজা পালং ও পালংখালী ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ জমিতে আউশের চাষাবাদ হয়েছে । মাঠে ধান পেকে যাওয়ায় চাষীরা ফসল ঘরে তুলেছে।বলতে গেলে ৯০ শতাংশ পাকা ধান ঘরে তুললেও মাত্র ১০ শতাংশ ধান রয়ে গেছে মাঠে।
এও দেখা গেছে , ফসল কেটে নেওয়া আউশ ধানের জমিতে চাষীরা শীত কালীন শাক সবজি চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছেন , চলতি আউশ মৌসুমে ৫ টি ইউনিয়নে ১০০ শত হেক্টর জমিতে আউশ চাষাবাদের আবাদ হয়েছে ।যা গত বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হেক্টর বেশী।
রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুর বিল গ্রামের আব্দুর রশিদ ও রহিম উদ্দিন জানান , বর্ষাকালে পানি জমে থাকে না এমন উচু জমিতে আগাম ধান চাষ করা হয় । যা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির শেষ হতে না হতে কৃষকরা আউশ ধান ঘরে তুলতে পারে।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিউটন চৌধুরী ও মোস্তাক আহমেদ বলেন, ব্রী ৪৮, ব্রী ৮৫, ব্রী ৩৩ ও বিনা ৭ জাতের বীজ ধান দিয়ে আউশের চাষাবাদ করার জন্য পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধ করে থাকি। এতে ভালো ফলন উৎপাদন করা সম্ভব ।
পালংখালী ইউনিয়নের মোছার খোলা গ্রামের মহিলা চাষী বুলবুল আকতার জানান, চলতি মৌসুমে ১ বিঘা জমিতে আউশধানের চাষাবাদ করে আশানুরূপ ফলন উৎপাদন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান , জমি নির্বাচন, রোপন পদ্ধতি প্রযুক্তি ব্যবহার, সঠিক সার প্রয়োগ ও রোগ বালাই দমনে কৃষকদেরকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ সহ আউশধান চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে বীজ সহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে