শহিদ রুবেল, উখিয়া::
উখিয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ধারাবাহিক ফল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ন্যায় এইবারও পাশের চেয়ে ফেলের হার বেশি। এতে একদিকে সাধারণ অভিভাবকদের মাঝে যেমন হতাশার সৃষ্টি হয়েছে তেমনি সচেতন মহলকে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে।
২০১৭ এবং ২০১৬ সালে ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে উখিয়ার সর্ববৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উখিয়া কলেজে পাস করেছে ১৭৯ জন এবং ফেল করেছে ৩২০ জন। ২০১৬ সালের এইচএসসি তে পাশ করে ২০৮ জন ফেইল করে ২৭৪ জন। উখিয়ার নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বঙ্গমাতা ফজিলুতুনেসা মুজিব মহিলা কলেজে সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে পাস করেছে ২১২ জন, ফেল করেছে ২৭৯ জন। উখিয়ার একমাত্র জিপিএ-৫ অর্জনকারী ভালুকিয়া গ্রামের মৌলভী হাবিবুর রহমানের কন্যা সোমাইয়া আক্তার উক্ত কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৬ সালে পাস করে ২৩৮ জন এবং ফেইল করে ২৪৬ জন।
এইছাড়া আলীমে রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসায় পাশ করেছেন ১৪৪ জন, ফেল করেছে ২১ জন। ২০১৬ সালে ৯১ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করে হয়েছে ৮৮ জন। এইছাড়া ২০১৬ সালের উখিয়ার একমাত্র জিপি৫ মাদ্রাসাটির দখলে ছিল। ফারিরবিল মিনহাজুল কোরআন আলিম মাদ্রাসায় এইবার পাশ করেছেন ৪০ জন, ফেল করেছে ৩ জন। ২০১৬ সালে ২০জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাশ করেছিল। এইছাড়া ও রুমখাঁ পালং ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় পাশ করেছেন ৬৭ জন, ফেল করেছে ৬ জন। ২০১৬ সালে ৫৯ জন অংশগ্রহণ করে পাস করেছিল ৫৮ জন।
উখিয়ার একমাত্র কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নুরুল ইসলাম চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে এইবার পাশ করেছে ৩৬ জন, ফেইল করেছে ৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ শিক্ষার্থী। ২০১৬ সালে ৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাশ করেছিল।
এদিকে ফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উখিয়ার পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা মুলত এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। অগ্রসর শিক্ষার্থীরা শহরের কলেজ গুলোতে ভর্তি হয়ে থাকে। ছেলে মেয়েদের প্রতি অভিভাবকদের অসচেতনতা এবং শিক্ষকদের সমন্বয়হীনতা আরেকটি কারণ। এইছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রীতি ও অনেকাংশে দায়ী। উঠতি বয়সী তরুণরা শ্রেণীকক্ষে অংশ গ্রহণ না করে রাজনীতিতে বেশি সময় ব্যয় করতেছে।
সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে হতাশ অভিভাবকরা জানান, উখিয়ার উচ্চ মাধ্যমিক দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন ফলাফল সত্যিই হতাশাব্যঞ্জক। শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মান বৃদ্ধিতে অতি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী
জানান তারা।