আবদুল্লাহ আল আজিজ :
সেনাবাহিনী,র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ায় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত অপরাধী চক্র উধাও হয়ে গেছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান অনিদৃষ্টকাল পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন উখিয়ার পুলিশ প্রশাসন।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, উখিয়ায় ২০টি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গত আগষ্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত ক্যাম্পে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এসব সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা চক্রের ভয়ে সাধারন রোহিঙ্গারা ভীতিকর পরিবেশে জীবন যাপন করলেও তারা মুখ খোলছেনা। এসব অপরাধী চক্র কারা?
গত বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্প থেকে ৬ জন রোহিঙ্গাকে সন্ত্রাসীরা অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানা পুলিশ অপহ্নত ৬ জন রোহিঙ্গাকে হোয়াইক্যং চাকমা পাড়া এলাকার গভীর অরণ্যে থেকে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা পুলিশকে জানিয়েছেন তাদেরকে কারা অপহরন করেছে এবং কিজন্য অপহরন করা হয়েছে তা তারা জানেনা। তবে অপহরনকারী চক্র তাদেরকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে পুলিশের কাছে শিকার করেছে।
এঘটনা নিয়ে উখিয়া টেকনাফ শরনার্থী ক্যাম্প আশে পাশের স্থানীয় জনপদে আতংক বিরাজ করে আসছিল।
দায়িত্বরত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, রোববার ও সোমবার দুই দিনের অভিযানে কোন অপরাধী গ্রেপ্তার হয়নি। যৌথ বাহিনীর অভিযানের খবর পেয়ে অপরাধী চক্র নিরাপদ অবস্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মোঃ কায়রুজ্জামান যৌথবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান, মাদক, ইয়াবা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরন, খুন,গুমসহ যাবতীয় অপরাধ প্রবনতা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের নির্দেশক্রমে এ অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক এবং যেখানে থাকুকনা কেন তাকে যৌথবাহিনী অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে।