সরওয়ার আলম শাহীন::
উখিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনগুলো ছাপিয়ে চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরা অবিরাম ছুটছেন গ্রামে-গ্রামে। ৫ বছর পর আবারো নির্বাচনী আমেজ চলছে গ্রামে গ্রামে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করার পর থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের দিন-রাত যেন ছোট হয়ে গেছে। রাত-দিন নির্বাচনী প্রচরণা চালিয়েও যেন তাদের তৃপ্তি মিটছে না। মেম্বার প্রার্থী ছাড়াও ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা শহর ছেড়ে গ্রামে সময় কাটাচ্ছেন বেশী। অনেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ইতিমধ্যে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য শার্ট পেন্ট ছেড়ে নিয়মিত পাজামা- পাঞ্জাবী পড়ছেন। সাথে পড়ছেন টুপিও। গন সংযোগ কালে এদের কেউ কেউ গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায় করছেন। মুরব্বী টাইপের যাকে পাচ্ছেন তার পা,জড়িয়ে ধরছেন। নিচ্ছেন দোয়া। নির্বাচনী প্রচরণার বাইরে অংশ নিচ্ছেন মসজিদের সভা, ইসলামী জলসা সহ বিভিন্ন অনুষ্টানে। সাধ্যমত করে যাচ্ছেন দান- খয়রাত। কে কার আগে এসব অনুষ্টানে যোগ দেবে তা নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচনে জনগণের কাছে নিজেদের পরিচয় ও যোগ্রতা তুলে ধরতে সাহায্য নিচ্ছেন স্থানীয় মেম্বার প্রার্থীদের। এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ায় আওয়ামীলীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ নির্বাচনকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। এবার উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন প্রার্থী ছাড়াও সাধারন সদস্য পদে ২৪৬ জন ও নারী সংরক্ষিত আসনে ৬৭ জন মেম্বার প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন। উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়েনে বরাবরের মতো দু চৌধুরী পরিবারের প্রার্থীরাই প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন। এ ইউনিয়নে নৌকা নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ধানের শীষ নিয়ে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সাংসদ কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরীর পুত্র নবাগত তরুন রাজিব মাহমুদ রাজিব চৌধুরী। এ ইউনিয়নে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। তাই দু,জনের মধ্যে হাড্ডহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা। অন্য ৪টি ইউনিয়নে প্রার্থী তালিকায় আছেন হলদিয়া পালং ইউনিয়নে নেীকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের ছোটভাই অধ্যক্ষ শাহআলম। ধানেন শীষ পেয়েছেন শামশুল হক বাবুল। পালংখালী ইউনিয়নে নেীকার প্রার্থী শাহাদৎ হোসেন জুয়েল,ধানের শীষের প্রার্থী হেলাল উদ্দিন মেম্বার। রতœাপালং ইউনিয়নে নৌকা নিয়ে এসেছেন নুরুল হুদা, ধানের শীষ মিলেছে নুরুল কব্রি চৌধুরীর ভাগ্যে। জালিয়াপালং ইউনিয়নে এস,এম ছৈয়দ আলম হয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থী নুরুল আমিন চৌধুরী।এছাড়াও ৪ ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন রতœাপালং ইউনিয়নে বিএনপি নেতা খাইরুল আলম চৌধুরী, হলদিয়া পালং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল হক আমিন,জালিয়াপালং ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা মিজনুর রহমান ও পালংখালী ইউনিয়নে বিএনপি নেতা গফুর উদ্দিন চৌধুরী ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহামদ।আগামী ৪ টা জুন উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্টিত হবে।
পাঠকের মতামত