প্রকাশিত: ০৪/১১/২০১৬ ৫:২০ পিএম

ricbবিশেষ প্রতিবেদক ::
উখিয়া উপজেলায় দশ টাকার চাল নিয়ে লুটপাট শুরু করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ ডিলাররা।এতে প্রকৃত গরিব,অসহায়,দুস্থরা চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।অনেক ক্ষেত্রেই দশ টাকার চাল যাচ্ছে ধনীদের বাড়িতে।বাদ যাননি জনপ্রতিনিধির অবস্থ্া সম্পন্ন আত্বীয় স্বজনরাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে গবীর দুস্থদের জন্য গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে দশ টাকার চাল বিত্রিু কার্যত্রুম।২২ জন ডিলারের মাধ্যমে একমাস দেরীতে শুরু হওয়া গবীরবান্ধব সরকারের এ কর্মসূচী নিয়ে উখিয়া উপজেলার সর্বত্র চলছে লুটপাট।উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগসাজসের বড় ইনানী এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের তারেক উল্লাহ,রতœপালং ইউনিয়নের প্রতিজন ডিলার,হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখার নুরুল আলম ও রাজাপালং ইউনিয়নের দু,জন ডিলার তাদের আত্বীয় স্বজনদেরকে তালিকায় অন্তভুক্ত করেছেন।দশ টাকা চালের কার্ড পেয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আত্বীয় স্বজনরাসহ প্রবাসীরাও।এছাড়াও এমন দু,শতাধিক ব্যক্তি দশ টাকা পেয়েছেন যাদের প্রত্যেকের ৫ থেকে ১০ বিঘা জমি রয়েছে।আছে ব্যবসা-বাণিজ্যও।বিপরীতে রাজাপালং ইউনিয়নের জাদিমুরা গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক আব্দুস সবুর, রিকসাচালক আলাউদ্দীন, আব্দুস সালাম।খয়রাতি ও হরিনমারা গ্রামের আব্দুল আলীম, মনিরুল ইসলামসহ শতাধিক হতদরিদ্র মানুষ দশ টাকা দরের চালের কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।এলাকাবাসী বলছেন,স্থানীয় মেম্বাররা চেহারা দেখে বেছে বেছে তাদের আত্মীয়স্বজন ও পছন্দের লোকদের কার্ড দিয়েছেন।এক্ষেত্রে মেম্বাররা কার্ড প্রতি টাকা নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।রাজাপালং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের এক চিন্থিত একজন দুবাই প্রবাসী, ৯ নং ওযার্ডের পশ্চিম কুতুপালং এর সোদি আবর প্রবাসী আলী হোসেন,হলদিয়াপালং ইউনিয়নের হাতিঘোনা গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের ২ বিঘা জমি,দোকোনের মালিক শামশুল আলম পেয়েছেন দশ টাকা চালের কার্ড।কার্ড পাওয়া ৯ নং ওযার্ডের সৌদি প্রবাসী আলী হোসেনের দুই ছেলে বর্তমানে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া এছাড়া  রাজাপালং ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতির স্ত্রীর নামও রয়েছে।অন্যদিকে হলদিয়া ৭ নং ওযার্ডের নুরুল ইসলামের রয়েছে ২ বিঘা ধানি জমি,৩ তলা পাকা বাড়ী ও জনবহুল কোটবাজারে একটি দোকান। সবচেয়ে বেশী অভিযোগ রতœপালং ও জালিয়া পালং ইউনিয়নে।এ দুটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের সুবিধামত লোককে টাকার বিনিময়ে কার্ড দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।একঘরের মধ্যে দু,জনকেও কার্ড দেওয়ার নজির রয়েছে রতœপালং ইউনিয়নে। এমনকি কিছু এলাকার মেম্বারদের শাশুরবাড়ীর লোকদের নামেও কার্ড ইস্যু করা করেছে।রতœপালং ইউনিয়নে চালবাজির সবকিছুই নিয়ন্ত্রন করছেন চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী। তার নির্দেশেই মেম্বার ও ডিলাররা নয়ছয় করে দশ টাকার চালে চালবাজি করছেন। শুধু রতœপালং ইউনিয়ন নয়,উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে এভাবে চলছে দশ টাকা দরের চাল নিয়ে চালবাজি।চাল নিয়ে চালবাজির পাশাপাশি ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। দশ টাকার চাল নিয়ে চালবাজির ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা উপ খাদ্য পরিদর্শক পলাশ পাল বলেন,কয়েকটি স্পট পরিদর্শন করে কিছু অভিযোগ আমরাও পেয়েছি,কিন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তালিকা অনুয়ায়ী আমাদের কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে। এলাকায় কে গরীব কে ধনী তা আমাদের জানান কথা নয়,স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সপ্তাহে ৩ দিন শুত্রু,শনি ও মঙ্গলাবার দশ টাকার চাল বিত্রিু করছে ডিলাররা।সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

পাঠকের মতামত

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ছাড়া মিয়ানমারে শান্তি স্থায়ী হবে না

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ছাড়া মিয়ানমারে স্থায়ী শান্তি ও ...

পারকি সৈকতে ধরা ২৫ ভাসানচর থেকে পালাচ্ছেন রোহিঙ্গারা!

নোয়াখালীর ভাসানচরের আশ্রয়শিবির থেকে কৌশলে রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছেন! প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাব, আত্মীয়-স্বজনের কাছে যাওয়ার বাহানা, ...

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কক্সবাজারে সংবাদ সম্মেলন

জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদদের নিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক কটাক্ষ ও ব্যাঙ্গাত্মক কন্টেন্ট বানিয়ে অপপ্রচার ...