সরওয়ার আলম শাহীন::
কক্সবাজারের উখিয়ার সর্বত্র দুর্লভ ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। খেতে সু-স্বাদু পুষ্ঠিকর এ ফল চাষ সফল হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ড্রাগন ফল বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদরা। রেড়িয়েন বিজনেস কসসোডিয়াম নামের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এ দূর্লভ চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন।
সরেজমিন ড্রাগল ফল চাষ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ঠদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত মান সম্পন্ন উদ্যাণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আইসোলেটর কর্মসূচীর উদ্যোগে ২০১৪সালের জুলাই মাসে উখিয়ার কুতুপালংস্থ টিভি রিলে কেন্দ্রের অদূরে পরীক্ষামূলক এ ড্রাগন চাষটি শুরু করে।এ চাষটি খুব ব্যয় বহুল। প্রকল্পটিত ড্রাগন ফলের বাগান হওয়ায় তাদেরে দেখাদেখি উখিয়ার অন্যন্য এলাকায়ও ড্রাগন ফল চাষ করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ড্রাগন ফলের গাছটি লতানো জাতের, এর কোনো পাতা নেই, এ ফলটির উৎপত্তিস্থল সেন্ট্রাল আমেরিকা। ড্রাগন গাছে ফূল ফোটে রাতে, দেখতে অনেকটা নাইট কুইন ফুলের মতো লম্বাটে সাদা ও হলুদ। ড্রাগন ফুলকে রাতের রাণী নামে অভিহিত করা হয়। কৃষি বিভাগ আরো জানান, ১২ মাসের একটি ফল গাছ থেকে ২০কেজি ফল পাওয়া যায়। ৩বছর পুর্ণ হলে প্রতি গাছ থেকে ১শ কেজি ফল পাওয়া সম্ভব। এই ফল প্রতি কেজি দেশে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি হয়। দেখা গেছে রেডিযান গার্ডেনে বর্তমানে ড্রাগন ফল পাকতে শুরু করেছে। গাছে গাচে প্রচুর ফল ধরেছে। রেড়িযান গার্ডেনের কেয়ারটেকার সুমন জানালেন,ড্রাগন ফল চাষের মাধ্যমে উখিয়ার চাষীদের মাঝে ড্রাগন চাষে উদ্ভুদ্ব করায় তাদের লক্ষ্য। ইতিমধ্যে অনেক চাষী এসে তাদের কাছ থেকে ড্রাগন চারা নিয়ে গেছে। আবার অনেকে প্রতিদিনই ড্রাগন চাষ সম্পর্কে জানার জন্য আসছেন।
রেড়িয়েন বিজনেস কসসোডিয়াম প্রতিষ্ঠানের ড্রাগন চাষী হাসান জাহিদ চৌধুরী বলেন, এ ফল গাছের চারা গুলো শরিয়তপুর থেকে সংগ্রহ করা হয়। মূলত এ ফলের চারা গুলো তারা থাইল্যান্ড থেকে আমদানী করেছে। কৃষি অধিদপ্তরের আইসোলেটর উদ্যানের সহযোগিতায় উখিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুতুপালংয়ের অদূরে পাহাড়ী ৫ একর জায়গা ড্রাগন চাষ শুরু করি। প্রথমে ৫০টি চারা পরীক্ষামূলক রোপন করে সফল হওয়ায় তা বাণিজ্যিক আকারে গড়ে তোলা হয়েছে। আধুনিক ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে বর্তমানে সহ¯্রাধিক ড্রাগনের চারা রোপন করা হয়েছে। এই গাছ সুষ্টু ভাবে বেড়ে উঠলে এখান থেকে বানিজ্যিকভাবে ড্রাগন দেশের বিভিন্ন জায়গার সরবরাহ করা যাবে বলে তিনি জানান।।
স্থানীয় কৃষি গবেষক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ড্রাগন চাষ অত্যান্ত ব্যয় বহুল। এ চাষ করা খুবই বিরল। পাহাড়ী এবং উচু জায়গা ড্রাগন চাষের উপযোগি। বিশ্বে ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগ নিবারণে ড্রাগন ফল বেশ উপকারী। এতে ভিটামিন সি’র পরিমাণ খুবই বেশি।
পাঠকের মতামত