মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া::
নির্বাচনী প্রতিহিংসার জের ধরে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকায় প্রতিপক্ষের লেলিয়ে দেওয়া দুর্বৃত্তরা প্রায় ৪০ একর চিংড়ি ঘের দখল করে ৩ লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুটপাট করেছে। এ সময় বাঁধা দিয়ে গিয়ে চিংড়ি ঘেরে দায়িত্বরত ২ জন পাহারাদার আহত হয়েছে। গত ৪ জুন নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকে ঘের দখল ও মাছ লুটের মহোৎসব বুধবার সকাল থেকেও মাছ লুটের মহোৎসব চলছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছেন।
বালুখালী গ্রামের সুলেমানের ছেলে নুরুল হক ও মৃত হোছন আলীর ছেলে ফখরুদ্দিন জানান, বছরে ৫ লক্ষ টাকায় প্রায় ৪০ একর চিংড়ি ঘের লাগিয়ত নিয়ে উক্ত ঘেরে আরো ৫ লক্ষাধিক টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে তারা বছর বছর চিংড়ি উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল। ক্ষতিগ্রস্থ চিংড়ি ঘের মালিকেরা জানান, গত ২ বছর ধরে প্রচন্ড খরায় তারা চিংড়ি খাতে প্রচুর পরিমাণ টাকা লোকসান দিয়ে আসছিল। গত ৪ জুন নির্বাচনী প্রতিহিংসার জের ধরে প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থীর লেলিয়ে দেওয়া ১৮/২০ জন দুর্বৃত্ত চিংড়ি ঘের দখলে নিয়ে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুটপাট করে। মাছ লুটপাট করার সময় বাধা দিয়ে গিয়ে চিংড়ি ঘেরের পাহারাদার ছৈয়দ আলম ও আব্দুল গফুরকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে।
সরেজমিন বালুখালী জমিদারপাড়া ঘুরে দেখা যায়, বেশ কিছু লোকজন চিংড়ি ঘেরের ওপারে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। এ সময় চিংড়ি ঘেরের স্বত্বাধিকারী মরহুম লতিফুল কবিরের সহধর্মিনী নাহার কবির পাখি জানান, স্থানীয় মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে বাহাদুর ও গোরা মিয়ার ছেলে রাজিবের নেতৃত্বে ১৮/২০ জন দুর্বৃত্ত তার চিংড়ি ঘের দখল করে মাছ লুটপাট করছে। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীর প্রদত্ত প্রজেক্ট লাগিয়ত করে আমি সংসার চালায়। এমতাবস্থায় স্থানীয় ওই দুর্বৃত্তদের কারণে আমাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে পালংখালীর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, নির্বাচন পরবর্তী যে কোন ধরনের প্রতিহিংসামূলক আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়। সাবেক ইউ,পি, সদস্য ফজল কাদের ভুট্টো জানান, মাছ লুটপাটের বিষয়টি উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, এ ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ তিনি এ পর্যন্ত পাননি। তবে ঘের দখলের ঘটনাটি শুনেছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের নিকট স্বীকার করেন।