উখিযা নিউজ ডটকম::
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে পাহাড় কাটার হিড়িক।এতে বাদ যাচ্ছেনা সামাজিক বনায়নের পাহাড়ও।দেশে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আইন থাকলেও উখিয়া উপজেলায় তার কার্যকারিতা নেই। রহস্যজনক কারনে নিরব বনবিভাগ।কিছু কিছু ক্ষেত্রে বনবিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই করেই চলছে সামাজিক বনায়ানের পাহাড় কাটা এমন অভিযোগও রয়েছে।প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা এসব পাহাড় কেটে শ্রেণী পরিবর্তন করে প্লট আকারে বিিিত্রু করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।কিন্ত বনবিভাগের কর্তাব্যাক্তিরা যেন অসহায় এসব প্রভাবশালীদের কাছে।
সুত্র জানায়, কয়েকটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট শুধুমাত্র পাহাড় কেটে বনবিভাগের শ্রেনী পরিবর্তন করে সরকারী বনভুমি প্লট আকারে বিত্রিুর প্রতিযোগিতায় নেমেছে।এতে বাদ যাচ্ছেনা সামাজিক বানায়নের মাধ্যমে সৃজনকৃত বাগানগুলো পর্যন্ত।প্রভাবশালীরা সরকারি বনভূমির পাহাড় থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট মাটি কেটে ট্রাক ও ডাম্পার যোগে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিক্রয় করে দিচ্ছে।বিশেষ করে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মনখালী বিটের ছেপটখালীতে ২০০৬ সালের সৃজনকৃত সামাজিক বনায়নে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে জমি তৈরী করছে এলাকার প্রভাবশালী এখলাছুর রহমানের ছেলে মইনুল হক।এছাড়াও খোজঁ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার অর্ধশতাধিক চিহ্নিত ভুমিদস্যু পাইন্যাশিয়া,চোয়াংখালী,ছেপটখালী,মোঃ শফিরবিল, মনখালী, থাইংখালী বাঘঘোনা, পালংখালী, মুহুরী পাড়া, ভালুকিয়া, হলদিয়া, হাতিরঘোনা, লম্বাশিয়া, লম্বাঘোনা, মধুরছাড়া, মাছকারিয়া সহ উপজেলার অর্ধশতাধিক স্পটে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট সরকারী বনভূমির পাহাড়ের মাটি কেটে ইট ভাটা ও স্থাপনা নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।আবার এসব বনভূমি কেটে শ্রেনী পরিবর্তন করে প্লট আকারে বিত্রিুও করছে প্রভাবশালীরা।ছেপটখালী ২০০৬ সালের সৃজনকৃত সামাজিক বনায়নের সভাপতি মোস্তাক আহামদ ও জাকের আহামদ অভিযোগ করে জানান,এলকার প্রভাবশালী ভুমিদুস্যু মইনুল হক সামাজিক বনায়নের পাহাড় কেটে মাঠি লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে।পাহাড় কাটার পর সে শ্রেনী পরিবর্তন করে সরকারী বনায়নের জমি দখল করে তা প্লট আকারে বিত্রিু করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে বনবিভাগকে একাধিকবার বলার পরও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।মনখালী বিট কর্মকর্তা ইকবাল হোসেনের সাথে ভুমিদুস্যু মইনুল হকের দহরম মহরম সম্পর্ক থাকার কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা স্থানীয় বনবিভাগ। এ ব্যাপারে মনখালী বনবিট কর্মকর্তা ইকবাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,সামাজিক বনায়নের উপভোগীরা কোনরকম সহযোগিতা করেননা,তাই ভুমিদুস্যু মইনুলের ব্যাপারে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা যাচ্ছেনা। হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা সুনিল কুমার দেবরায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।