ফারুক আহমদ , উখিয়া ::
মাহমুদুল হক কোটবাজার ক্ষুদ্র কাঁচা তরকারি বিক্রেতা। রাতারাতি ধন্যঢ্য হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইয়াবা কারবারের খাতায় নাম লেখান। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় একাধিকবার। তাতেও শেষ নই জেল থেকে বের হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোর্স পরিচয় দিয়ে একচ্ছত্র ইয়াবা কারবারে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে । ভালুকিয়া গ্রামের আলোচিত ‘ স’ অদ্যক্ষরের একাধিক বার গ্রেপ্তার হওয়া যুবক সোর্সের সহযোগী ছিল তিনি। আটক সোর্স মাহমুদল হকের ইয়াবা কারবারে নানা চমকপ্রদ খবর এখন মানুষের মুখে মুখে।
গত শুক্রবার রাতে উখিয়া থানার পুলিশ বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা সহ মাদক কারবারী মাহমুদুল হক কে আটক করেন । এ সময় নগদ টাকাও উদ্ধার করা হয়। তিনি হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখা বড়বিল গ্রামের ফরিদ আলমের পুত্র । এসআই মামুনের নেতৃত্ব একদল পুলিশ সোর্স পরিচয় দানকারী মাহমুদুল হক কে ইয়াবা ও নগদ টাকা সহ আটক করে সাহসীকতার পরিচয় দেন।
শনিবার ১০ এপ্রিল দুপুরে উখিয়া থানার নিজস্ব পেইজবুক ওয়ালে আটক মাদক কারবারির ছবি সহ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সনজুল মোরশেদ জানান, এ ব্যয়পারে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে , ইতিপূর্বে ইয়াবা সহ চট্টগ্রামে আটক হন সেই মাহমুদল হক। কয়েক মাস জেল খেটে জামিনে বের হয়ে ফের ইয়াবা কারবারে নেমে পড়েন। ঢাকা চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তার ইয়াবার চালান বহন করত আপন মামা নুরুল হক প্রকাশ ডন। পেশায় সিএনজি চসলক তিনি। একই গ্রামের মৃত আনগু মিয়া পুত্র ।
গতবছর বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচার কালে ঢাকার গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথিত বন্ধুযুদ্বে নুরুল হক নিহত হন। জনশ্রুতি রয়েছে মাহমুদল হকের ইয়াবা চালান পাচার করতে গিয়ে দরিদ্র নুরুল হক নিহত হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকই জানান, রত্না পালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া গ্রামের ‘ স ” অদ্যক্ষরের এক ইয়াবা কারবারির বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সহ আমদানি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য সহ গেল বছর পর পর দু বার আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হন। তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মাদকদব্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে ।
স্হানীয় গ্রামবাসীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে ,’ স’ অদ্যক্ষরের সেই আলোচিত সমালোচিত যুবক জেল থেকে জামিনে বের হয়ে পুরো দমে ফের ইয়াবা কারবারে নেমে পড়েন। আইনশৃংখলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে।
অভিযোগে প্রকাশ, গত শুক্রবার রাতে পুলিশের জালে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সহ আটক মাহমুদুল হক হচ্ছে ভালুকিয়া গ্রামের ” স ” অদ্যক্ষরের অন্যতম সহযোগী ।
সচেতন নাগরিক সমাজের প্রশ্ন , বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক মাদক কারবারিরা জেল থেকে বের হয়ে কি ভাবে সোর্স পরিচয় দিয়ে বেড়ায় তা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে । এদিকে পুলিশের জালে আটক মাহমুদুল হককে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে অনেকের অভিমত।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দানকারীর চিহ্নিত মাদক কারবারিদের গতিবিধি নজরদারির বাড়ানোর জন্য বাড়ানো জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট নাগরিক সমাজের আহবান।
২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নেয় কক্সবাজারে। বাংলাদেশের ...
পাঠকের মতামত