ফারুক আহমদ, উখিয়াঃঃ
উখিয়ায় তালিকাভূক্ত ইয়াবা স¤্রাট ও হুন্ডি ব্যবসার গডফাদাররা বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ ভাবে আসা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা বিতরণের নিরাপদ চ্যানেল হচ্ছে বিকাশ এজেন্ট। আইনশৃংখলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে এসব অবৈধ লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
খোজখবর নিয়ে জানা যায়, উখিয়ায় ২০ জনের অধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে। চিহ্নিত ও তালিকাভূক্ত এসব ইয়াবা ব্যবসায়ী বর্তমানে বহু টাকার মালিক। রাতারাতি অবৈধ টাকা আয় করে বহুতল ভবন ও উখিয়া কোটবাজার, মরিচ্যা সহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ভিআইপি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে।
শুধু তাই নয় জেলার সবচেয়ে বেশি হুন্ডির মাধ্যমে আসা অবৈধ টাকা লেনদেন হয় উখিয়া তে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী হওয়ায় এবং কুতুপালং এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকায় মধ্য প্রাচ্য থেকে প্রতিদিন হুন্ডির চালানীর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা উখিয়ায় আসে। অভিযোগে প্রকাশ উত্তর পুকুরিয়ার আনোয়ার, হাজী পাড়ার মাহমুদুল হক, চাকবৈঠার একরাম, জালিয়াপালং পাইন্যাশিয়া গ্রামের হেলালের নেতৃত্বে ১৫/১৬জনের একটি শক্তিশালী হুন্ডি সিন্ডিকেট রয়েছে। হুন্ডি স¤্রাট আনোয়ারের নেতৃত্বে এসব অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। এছাড়াও কোটবাজার চৌধুরী মার্কেটের একরাম সু-স্টোরের মালিক একরাম হচ্ছে হুন্ডি জগতের ডন। থানার পুলিশকে সাপ্তাহিক মাসো হারা দিয়ে প্রকাশ্যে ইয়াবা ও হুন্ডির টাকা লেনদেন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ির কারণে অস্বভাবিক লেনদেন ও অনলাইনে সন্দেহ জনক টাকা আসলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা প্রদান করতে চাই না। ফলে ইয়াবা গডফাদার ও হুন্ডি ব্যবসায়ীরা অসুবিধা সম্মুখীন হয়। ফলে বিকাশ এজেন্ট হচ্ছে অবৈধ লেনদেনের নিরাপদ স্থান। সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় কোটবাজার ফজল মার্কেটে অবস্থিত বিকাশ এজেন্ট ও উখিয়া মসজিদ মার্কেটে অবস্থিত বিকাশ এজেন্ট সহ মরিচ্যার বেশ কয়েকটি এ ধরনের এজেন্টের দোকানে অস্বভাবিক লেনদেন হচ্ছে। এসব বিকাশ এজেন্টের দোকানে ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ীদের আস্তনা গড়ে উঠেছে।
সচেতন মহলের অভিমত জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজর দারী করলে চিহ্নিত বিকাশ এজেন্টের দোকান গুলোর অস্বভাবিক লেনদেনের ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
পাঠকের মতামত