মোসলেহ উদ্দিন, উখিয়া::
উখিয়ার কতিপয় ইউপি সদস্যের নানা অপরাধ প্রবণতা ও অনৈতিকতার ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রতিনিধি কর্তৃক মহিলা ইউপি সদস্যের শ¬ীনতাহানী ও মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ একজন ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
উখিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার জয়নাব বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদে একা পেয়ে গত ১৯ জুন বিকাল ৪টায় একই ইউনিয়নের মেম্বার রফিক আহমদ ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে মহিলা ইউপি সদস্যের শ¬ীনতাহানী করে। এ ঘটনায় জয়নাব বেগম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উখিয়া থানার এসআই আনিসুর রহমান গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার রফিক আহমদকে গ্রেফতার করে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, একজন জনপ্রতিনিধি যখন অনৈতিক কাজের সম্পৃক্ত হয়, তখন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়, বিনষ্ট হয় এলাকার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিবেশ। তাই এসব মেম্বারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। হলদিয়াপলং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
রতœাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জসিম উদ্দিনের স্ত্রী রোমা আক্তার (২৬) কে রোজামুখে দিনের বেলায় বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করেছে ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমদ। এ ঘটনায় রোমা আক্তার বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। এলাকাবাসী জানান, ইতিপূর্বেও পাতাবাড়ী গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বামী ছৈয়দ আলম তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমদ এ ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, তার আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় সাবেক ইউপি সদস্য তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সে জানায়, প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে তার পরিবারের জমি জমা নিয়ে বিরোধ আসছিল দীর্ঘ দিন থেকে। এ ঘটনা নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে এলাকার কতিপয় প্রতিপক্ষ। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, অভিযুক্ত ফিরোজ আহমদ মেম্বারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি তদন্ত চলছে।
পাঠকের মতামত