মাটির উর্বরা শক্তি, পানি, রস ইত্যাদি অত্যাধিক হারে পোষণ করে পরিবেশ, প্রাণী বৈচিত্র্যের ক্ষতিকর হওয়ায় কয়েক বছর পূর্বে এসব গাছের বনায়ন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়। শিল্প বনের অন্যতম উপাদান বিদেশী প্রজাতির এ ইউকিলিপটাস গাছের চারা উৎপাদন, বিপণন, বনায়নের উপর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উখিয়ার সর্বত্র ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক হারে এসব গাছ রোপন ও বনায়ন করা হচ্ছে। বন বিভাগ বলেছে এসব গাছ নিষিদ্ধ করা হলেও প্রতিরোধের সুনির্দ্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না থাকায় ব্যক্তি পর্যায়ে তার বনায়ন, বিকি কিনি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উখিয়ার সর্বত্র বাণিজ্যিক হারে বিভিন্ন গাছের চারা উৎপাদনে বেশ কিছু নার্সারী গড়ে উঠে।
বন বিভাগ ও কৃষি বিভাগের তৎপরতায় সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত ইউকিলিপটাস গাছের উৎপাদন উখিয়া কোন নার্সারীতে হয়না বলে নার্সারী মালিকরা জানান। উখিয়া সিকদার নার্সারীর মালিক নুর মোহাম্মদ সিকদার জানান, আমার মত উখিয়ার সর্বত্র প্রায় শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা উৎপাদনের নার্সারী রয়েছে। আমার জানা মতে কোন নার্সারীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত এ গাছের চারা উৎপাদন করা হয় না। কারণ এসব গাছের ক্ষতিকর প্রভাব আমরা স্বচক্ষে দেখে আসছি। এগুলোতে কোন ফল-ফুল না থাকায় এবং পরিবেশ পরিপন্থী হওয়ায় আমরা এগুলো উৎপাদন করছি না। এর পরও উখিয়া বিভিন্ন হাট বাজারে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও অন্যান্য এলাকা থেকে কতিপয় লোকজন গাড়ী ভর্তি করে এনে এসব গাছ অবাধে বেচা কেনা করছে। এব্যাপারে উখিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, বিদেশী প্রজাতির ইউকিলিপটাস গাছ আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়ার জন্য উপযোগী না হওয়ায় সম্প্রতি বন প্ররিবেশ মন্ত্রণালয় এসব গাছের চারা উৎপাদন, বিপণন, ও বনায়নের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু এব্যাপারে এসব গাছের চারা উৎপাদন, বিপণন, ও বনায়ন প্রতিরোধে কোন সু নির্দ্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না থাকায় আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে স্থানীয় ভাবে গ্রামাঞ্চলে অনেকে সখের বসে কিছু গাছ কিনে নিয়ে রোপন করতে দেখা গেছে।