উখিয়ায় বাড়ছে ইভটিজিং ও প্রেমের নামে অবৈধ সম্পর্ক। স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা জড়িয়ে পড়ছে এহেন কার্যকলাপে।সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভনে আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে শারিরীক অনৈতিক কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় মেয়ের মা বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উখিয়া জালিয়া পালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া ৩ নং ওয়ার্ডের লিয়াকত আলী বাবুলের ছেলে আব্দু জব্বার সুমন (১৯) সোনার পাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী নাম গৌপন রাখাহল (১৪) সাথে ৮/৯ মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুমন জালিয়া পালংস্থ আব্বাসী রয়েল রিসোর্ট ও একই এলাকার জুনাইদিয়া আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে শারিরীকভাবে একাধিকবার অনৈতিক কাজ করে। সোনার পাড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধি জালাল মেম্বার জানান, তারা দুজনই একই মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত আছে। সুমন ১০ শ্রেণির ছাত্র আর সুচমি ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। মাদ্রাসার নিয়ম কানুন না মানার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদের দুজনকেই সতর্ক করেন এবং অভিভাবকদের নিয়ে আসার জন্যে বলেন। এতে সুমন আর ভুল হবে না বলে মৌখিকভাবে শিক্ষকদের জানান। তবে এদের দুই জনেরই চরিত্র ভালো না। তাই তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সুচমি সুমনের সাথে ঘটে যাওয়া বিস্তারিত তার মাকে খুলে বলেন। এতে তার মা-বাবা মেয়েকে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেন। সুচমি এ প্রতিবেদককে বলেন, সুমনের সাথে আমার প্রায় এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে আমাকে বিয়ে করবে বলে শপথ করে বিশ্বাস দেখায়।আমার সাথে একাধিকবার হোটেলে নিয়ে গিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করে। এখন আমি তাকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারিনা। মেয়ের মা ছেনুয়াবা বেগম বলেন, আমার মেয়ে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে লিয়াকত আলী বাবুলের ছেলে আব্দু জব্বার সুমন ইভটিজিং করতো। একই মাদ্রাসায় পড়ার সুবাদে দুজনের দেখা-সাক্ষাত হতো। অবশেষে তাদের মধ্যে মন দেয়া-নেয়া হয়। বিয়ের আশ্বাসে আমার সহজ-সরল মেয়েকে নিয়ে মাদ্রাসার ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে অনৈতিক কাজ করে। মেয়ের মুখ থেকে এসব কথা শুনে আমি মেয়েসহ লিয়াকতের বাড়িতে যায়। লিয়াকত ও তার আরেক ছেলে মোঃ কায়সার আমাদের কথা শুনে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। উপায়ান্তর না দেখে আমি উখিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি। লিয়াকত আলী বাবুল জানান, মা-মেয়ে আমার বাড়িতে এসেছিল। আমি তাদেরকে গাড়িতে তুলে দিয়ে বিষয়টির ব্যাপারে ভাবছি বলে জানিয়েছি। এখন কথা হলো তারা দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এবং একই মাদ্রাসায় পড়ে। ভুল দুজনেরই হয়েছে। যেতেহু থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে দেখুক। এ ব্য্যাপারে উখিয়া থানায় যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির এস আই অলিউরকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তকারি কর্মকর্তা অলিউর বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া নিউজ ডটকম
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এবার ক্যাম্প-৪ ডাব্লিউতে পুড়ে গেছে তিনটি ...
পাঠকের মতামত