এস এম রানা ,উখিয়া
উখিয়ায় দুলাভাইয়ের অমানবিক পিটুনীতে গুরুতর আহত হয়েছে কিশোর স্কুল ছাত্র শ্যালক মিজান (১৬) এ ব্যপারে আহত কিশোর মিজানের মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে জামাই রুহুল আমিনের বিরুদ্বে গত ১৭ অক্টোবর উখিয়া থানায একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায় উখিয়া উপজেলা জালিয়া পালং ইউনিয়নের জুম্মা পাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের কন্যা জাহেদা বেগম (২০)কে সংসারের অভাব অনটনের কারনে তার মা অসহায় রাবেয়া বেগম একই গ্রামের প্রভাবশালী ছালামত উল্লাহর বাড়িতে ঝিয়ের কাজে দেয়। জাহেদা বেগম গরিব ঘরের মেয়ে হলেও দেখতে ছিল সুন্দর রুপের অধিকারী, ফলে তার উপর নজর পড়ে ঐ বাড়ি সন্তান রুহুল আমিনে (৩০)
এ দিকে রুহুল আমিন মিথ্যা বিয়ে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে কিশোরী জাহেদার সাথে গড়ে তুলে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক ফলে জাহেদা গর্ভবতি হযে পড়ে।
অবিবাহিত মেয়ে অন্তস্বত্বা হয়ে পড়াতে সমাজে জানাজানি হওয়ার পাশা-পাশি বিপাতে পড়ে যায মা রাবেয়া বেগম, ফলে সমাজিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করার পর অবশেষে গত একমাস পুর্বে রুহুল আমিন কাজের মেয়ে জাহেদা কে বিবাহ করতে বাধ্য হয়।
লোক সমাজ থেকে বাঁচতে জাহেদাকে বিবাহ করলেও কোন প্রকার বিবাহ রেজিষ্টার করেনি রুহুল আমিন। এ নিয়ে মা রাবেয়া বেগম মেয়ের বিবাহের রেজিষ্টার করার জন্য বারবার তাগেদা দিয়ে আসলেও জামাই রুহুল আমিন কোন প্রকার কর্ণপাত না করে জাহেদার উপর দিনের পর দিন অমানবিক নির্যাতন চালাতে থাকে। ইতি মধ্যে গত ১৬ অক্টোবর জাহেদা বেগম একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে।
সদ্য সন্তান প্রসবকারী মাকে চিকিৎসা সে্বা দেওয়া প্রয়োজন হলেও অসহায জাহেদা বেগম কে কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা না দিয়ে অযন্ত অবহেলায় রেখে দেয় বাড়ির এক কিনারে।
এদিকে খবর পেয়ে জাহেদার ছোট ভাই উখিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া পরিক্ষর্থী ছাত্র মিজানুর রহমান ঐ দিন তার বোন কে দেখতে গেলে বোন জামাই রুহুল আমিন ও তার ছোট ভাই আফাজ উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন তেলে বেগুন হয়ে কিশোর ছাত্র মিজান কে দেখা মাত্র রশি দিয়ে পিচঁমোড়া করে বেঁধে কারেন্টের তার দিয়ে বেদড়ক মারধর করতে থাকে এবং গুরুতর আহত করে আটকে রাখে। পাষন্ড দুলাভাই ও তার ভাইদের অমানবিক শারীরিক নির্যাতনে কিশোর ছাত্র মিজানের সারা শরির ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়। বোন কে দেখতে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া মিজানের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্বার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও জখম গুরুতর বলে জানা গেছে। এ ব্যপারে স্কুল ছাত্র মিজানুর রহমানের মা রাবেয়া বেগম বাদি হয়ে জামাই রুহুল আমিন ও তার দু ভাই কে আসামী করে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। উল্লেখ্য ইতিপুর্বে ও জাহেদা বেগম কে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে মা রাবেয়া বেগম উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করছিল।
এদিকে উখিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ছা্ত্র মিজান তার টেষ্ট পরিক্ষায় অংশ নিতে পারে নি।