উখিয়া উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বাণিজ্যিক স্টেশন কোর্টবাজার। কক্সবাজার-টেকনাফ আরাকান সড়কের কোটবাজার চৌরাস্তা দিয়ে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। উখিয়া উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ এ সড়ক দিয়েই চলাচল করে। উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা দিতে এনজিওর শত শত গাড়ি এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে। জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সড়কটি প্রশস্ত করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি সড়কের ওপরে রেখেই প্রশস্ত করার কাজ শেষ করেন ঠিকাদার। সড়কের ওপরে শুধু খুঁটিই নয়, এখনো রয়ে গেছে দোকান ও মার্কেট। হাঁটার জায়গা ও ফুটপাথও দখলে রেখে সেই সব দোকান ভাড়া দিচ্ছে প্রভাবশালী মহল। ফলে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
সড়কের ওপর মোটরসাইকেল রেখে শপিং করতে যাওয়া খুরশেদ আলম বলেন, এখানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। উপায়ান্তর না দেখে বাধ্য হয়ে সড়কের ওপর রেখেছি। জালিয়া পালংয়ের সোনাইছড়ি এলাকা থেকে সাজেদা আক্তার কেনাকাটা করতে কোটবাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, এখানে হাঁটার জন্য ফুটপাথ নেই। লোকে লোকারণ্য থাকে মার্কেটগুলো। হাঁটারও জায়গা পাওয়া মুশকিল। রত্নাপালং ভালুকিয়া এলাকা থেকে আসা নুরুল আলম বলেন, কোটবাজার উখিয়ার বাণিজ্যিক স্টেশন।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে ভবন। কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদের সভাপতি শাহ আলম বলেন, দোকানপাট ও বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সড়কের ওপর থাকায় প্রতিদিনই যানজট লাগছে। সড়কের ওপর দোকানদাররা মালামাল রেখে যানবাহন চলাচলে আরো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তা ছাড়া সড়কের ওপর রয়েছে সিএনজি, টমটম, অটোরিকশার স্ট্যান্ড। সড়কের দুই পাশে এলোমেলোভাবে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে মোটরসাইকেল। রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, নুরুল হুদা বলেন, টমটম চালকদের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ে মিটিং করেছি। রাস্তার ওপর অবৈধ দখলদারদের ব্যাপারে উপজেলা পরিষদে আলোচনা করেছি। আমিও চাই রাস্তার ওপর থেকে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হোক।
হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া নিউজ ডটকম
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এবার ক্যাম্প-৪ ডাব্লিউতে পুড়ে গেছে তিনটি ...
পাঠকের মতামত