বিশেষ প্রতিবেদক:: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের চাকবৈটা গ্রামে এক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের বিরুদ্ধে রোজাদার গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই গৃহবধূ তাৎক্ষনিকভাবে লাজ-লজ্জায় বিষপান করার হুমকি দিলে ধর্ষক ইউপি মেম্বার জোর করে তাকে বিষ খাইয়ে দেয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গৃহবধূ আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের শরনাপন্ন হয়েছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাকবৈটা গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন কাটাচ্ছে। তার স্ত্রী রুমা আকতার (২৬) ও তার দুই সন্তান গ্রামের বাড়ীতে থাকে।
গৃহবধূ রুমা আকতার জানান, একই এলাকার ইউপি মেম্বার ফিরোজ আহমদ আমার প্রতি লোলুপ দৃষ্টি ফেলে। গত সোমবার দুপুরে আমার দুই সন্তান বাইরে খেলতে যাবার সুযোগে লম্পট ইউপি মেম্বার আমার প্রবাসী স্বামীর খবর আছে বলেই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
গৃহবধূ রুমা আরো জানান, লম্পট ইউপি মেম্বার তার কোমর থেকে একটি ছোরা বের করে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করতে শুরু করে। এ সময় রুমা তার হাতে পায়ে ধরে রোজা রেখেছি বলে জানালেও ধর্ষক আমাকে কোনভাবেই রেহাই দেয়নি।
ধর্ষণের সময় আমার চিৎকারে তার সন্তানদ্বয় ও পড়শীরা দৌঁড়ে আসে। ঘটনার পর লজ্জায় বিষপান করার হুমকি দিলে লম্পট ইউপি মেম্বার আমাকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেয়।
গৃহবধূর ননদ খতিজা বেগম জানান, বিষপানের পর তাকে প্রথমে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাই। সোমবার দিবাগত রাতে সেখান থেকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিই। আজ বিকালের দিকে রুমা আকতারের অবস্থা একটু উন্নতি হওয়ায় সন্ধ্যার পর উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করতে যাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার ফিরোজ আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- আমার এলাকায় একজন নারী বিষপান করেছে বলে শুনেছি। তবে কেন বিষপান করেছে তা আমি জানিনা। আর আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে তা ডাহা মিথ্যা।
উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের জানান, আমি ঘটনার কথা শুনেছি। এমন পবিত্র রমজান মাসে একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিষয়টি আমি সিরিয়াসলি দেখছি। সুত্র: কালেরকন্ঠ