সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া ::
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তিতে বসবাসরত লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের মাঝে বিরাজ করছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আতংক। সরকারী-বেসরকারী ভাবে এসব রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য কেউ এগিয়ে না আসায় এসব রোহিঙ্গারা কোথায় আশ্রয় নেবে তাও তারা বলতে পারছেনা। সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা বলছেন, তাদের ব্যাপারে সরকারী কোন নির্দেশনা আসেনি। তথাপিও স্কুল,মাদ্রাসা ও মসজিদে তাদের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ২টায় দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি ঘুরে দেখা যায়, রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের মাঝে উৎকন্ঠার চাপ। রোহিঙ্গা বস্তির নেতা রাকিবুল ইসলাম জানান, রোদ,বৃষ্টির কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এসব রোহিঙ্গারা মাথার উপরে ঝোপ-ঝাড় ও পলিথিন দিয়ে মানবেতর দিন যাপন করছে। ঘূর্ণিঝড় হলে এসব রোহিঙ্গাদের কিভাবে রক্ষা করা হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। বিধবা রোহিঙ্গা মহিলা আছিয়া খাতুন (৫৫) জানালেন, ঝুপড়িতে কোন ভাবে রাত যাপন করছি। ঘুর্ণিঝড় হলে কোথায় আশ্রয় নেব ভেবে পারছিনা। বয়োবৃদ্ধ মনির আহামদ (৬০) জানান, ঘুর্ণিঝড়ের ভয়ে কেউ কাজ করতেও যায়নি। দুর্যোগ হলে অনহারে আমাদের মরতে হবে। তাই দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্প ইনচার্জ মাহমুদুল হক বলেন, রেজিষ্ট্রার্ড শরনার্থীদের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। বহিরাগত প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন এব্যাপারে সরকারী কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তথাপিও তাদেরকে সর্তক থাকার জন্য বলা হয়েছে।