স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, উখিয়া ॥
কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের রুহুল্লার ডেবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পৈচাশিকতার শিকার হয়েছেন ২৫ জন কোমলমতি ছাত্রছাত্রী । এঘটনা নিয়ে আহত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে।
আজ রবিাবর বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা এক প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এলাকায়।
অভিযোগে জানা গেছে, রুহুল্লার ডেবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জ্যোতি বড়ুয়া ইতিপূর্বেও বিভিন্ন কারণে অকারণে বা অজুহাতে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল।
১ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে প্রধান শিক্ষক অর্তকিত ভাবে পঞ্চম শ্রেণিতে ঢুকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রশ্ন করতে থাকে। এসময় শিক্ষকের উগ্রমূর্তি দেখে ছাত্রছাত্রীরা কেউ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।
এসময় উক্ত প্রধান শিক্ষক তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে কস্টেপ দিয়ে মোড়ানো বেত দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। মারধরে ছাত্রছাত্রীদের চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ছুটে এলে প্রধান শিক্ষিকা শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করে। আহত ৫ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা হচ্ছে যথাক্রমে- সদিয়া, পারভিন, সাবেকুন নাহার, মাহিয়া জিয়াবুল হক, কোহিনুর, কামরু, তৈয়বা, আবু তাহের, রোজিনা, রিফাত, রুবেল, রাশেদ, মাইনুম, সাকিল, জিয়াউর রহমান, রিজিয়া, মিজান, সাকিলা, মোমেনা, সাফিয়া, নেজাম, মমতাজ মিয়া, জাকিয়া, আব্দুল জব্বর, ইমতিয়াজ জাহান।
আহত ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মাইমুনা আকতারের পিতা আবুল কাশেম জানান, উক্ত শিক্ষিকা ইতিপূর্বেও তার মেয়েকে বেশ কয়েকবার পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।
আরেক আহত ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মাহিয়া হকের পিতা মুজিবুল হক ভুট্টো জানান, উক্ত প্রধান শিক্ষক এক হাতে পায়ের সেন্ডেল আরেক হাতে বেত নিয়ে রুদ্ধদ্বার কক্ষে ছাত্রছাত্রীদের পিটিয়ে আহত করেছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জ্যোতি বড়–য়ার সাথে মুঠোফোনে আলাপ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত