প্রকাশিত: ০৮/০৯/২০১৮ ৫:৫২ পিএম

শ.ম গফুর,উখিয়া::
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সড়কে সৃষ্ট খানাখন্দক সংস্কারের পর এবার নামলেন স্কুল শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপার করার দায়ীত্বে।যারা এসব দায়ীত্ব পালন করছেন,তারা আর কেউ নন,এরা হলেন কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার বালুখালী শাহপরীরদ্ধীপ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ীর চৌকষ দল। শাহপরীরদ্ধীপ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়ার নির্দেশে কর্মরত সকল পুলিশ গণ নিজেদের সামাজিক দায়ীত্ব বোধ থেকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন স্কুল গামী শিক্ষার্থীদের মাঝে।৮সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াই ঘটিকা হইতে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার কুতুপালং বাজারের উত্তর পার্শে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় এবং কুতুপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখে অবস্থান নেন তারা। দুপুর আড়াইটার দিকে স্কুল ছুটি হলে উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মো: মোস্তফা নুর ও জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে দুর্ঘটনা রোধে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় ও কুতুপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচি-কাচা শিক্ষার্থীদের পুলিশী দল হাতে-হাত রেখে নিজেরাই রাস্তা পারাপারে সহযোগিতা করেন। শিক্ষার্থীরা রাস্তা পারাপার নিয়ে অনেকটা ঝুঁকিতে থাকতো।ক কখন নিরাপদে পার হয়ে বাসা-বাড়িতে ফিরবে।অনেকটা সংকোচ বোধ করতো।এখন তা নেই।একে-একে প্রায় ৫ শতাধিক হত শিক্ষার্থীকে রাস্তা পার করিয়ে অনন্য দৃষ্টি স্থাপন করলেন শাহপরীর হাইওয়ে পুলিশ,এমনটাই মন্তব্য করলেন কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:আবদুল মান্নান।

পুলিশী দল উভয় পাশে চলাচলরত যানবাহন গুলোকে সাংকেতিক চিহ্ন দেখিয়ে রাস্তার পাশে দাড় করায়।শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সড়ক পার করিয়ে দেওয়া হয়।সামাজিক এসব কল্যাণময় কাজে অংশ নেন শাহপরীরদ্ধীপ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া,সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক ননী বড়ুয়া,সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো:মোস্তফা নুর,সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন সহ হাইওয়ে পুলিশের চৌকষ দল।হাইওয়ে পুলিশের এহেন প্রশংসনীয় কর্মকান্ডের প্রতি শিক্ষক, শিক্ষার্থী,অভিভাবক-অভিভাবিকা ও সচেতন মহল সাধুবাদ জানান।

পাঠকের মতামত