ফারুক আহমদ, উখিয়া::
উখিয়ার পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ফ্লিমী কায়দায় অপহরণ কালে শফিউল হক (১৮) ও রিদুয়ানুল হক (১৭) নামক দু’জন যুবক আটক হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। থানার ডিউটি অফিসার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে থানা মামলা রুজু হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ ক্লাশ পাড়া গ্রামের ফরিদুল আলমের কন্যা ও পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী (নাম প্রকাশ করা গেল না) গতকাল সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হয়। অন্যান্য সহপাটির সাথে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে খোন্দকার পাড়া মসজিদ সড়ক অতিক্রম কালে অপহরণের শিকার হয় তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩ জন ছাত্রী একই সাথে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সিএনজি যোগে একদল যুবক এসে তাদেরকে গতিরোধ করে নবম শ্রেণীর একজন ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে গাড়িতে তুলে দ্রুত গতিতে চলে যায়। এসময় অপর সহপাটি ও কেজি স্কুলের ছোট ছেলেরা চিৎকার দিলে পথচারীরা এগিয়ে এসে অপহরণকারীচক্রের একজন সদস্য শফিউল হক কে আটক করে। গাড়িটি দ্রুত চলে যাওয়ায় আটক অপহরণকারীর সদস্য গাড়ীতে উঠতে না পারায় পথচারীরা তাকে আটক করতে সক্ষম হয় বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য সাকের উদ্দিন সাগর জানান, অপহরণকালে একজন আটক হওয়ার খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় অপহরণের শিকার ছাত্রীকে কোটবাজার সোনার পাড়া সড়কের রুমখাঁ ছাগল বাজার এলাকায় সিএনজি থেকে ফেলে দিয়ে অপহরকারীরা পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে রিদুয়ান নামক আরেকজন অপহরণকারীচক্রের সদস্য কে ধৃত করে দু’যুবককে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে অপহরণ থেকে রক্ষা পেয়ে স্কুল ছাত্রী দ্রুত বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অবহিত করে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমিমুল এহাসান মানিক জানান, অপহরণের ঘটনাটি উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে জানালে একদল পুলিশ বিদ্যালয়ে এসে আটক হওয়া দক্ষিণ ক্লাশ পাড়া গ্রামের মৌলভী নুর আহমদ আরমানের ছেলে শফিউল হক ও রতœাপালং তেলী পাড়া গ্রামের মাহবুবুল আলম সওদাগরের ছেলে রিদুয়ান কে থানায় নিয়ে যায়। তৎ মধ্যে রিদুয়ান আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর আবাসিক ছাত্র বলে জানা গেছে।
অপহরণের শিকার ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ করে বলেন, দক্ষিণ ক্লাশ পাড়া গ্রামের মোজাহের মিস্ত্রীর ছেলে ফাহিমের নেতৃত্বে পরিকল্পিত ভাবে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অপহরণের ঘটনা ঘটায়। বর্তমানে প্রধান পরিকল্পনাকারী ফাহিম পলাতক রয়েছে। পুলিশ বলেছে, তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।