নিজস্ব প্রতিবেদক::
তাদের আর ছাত্রদলের সম্মেলনে যাওয়া হলো না। পথেই তাদের থামিয়ে দিল একটি বেপরোয়া কাভার্ড ভ্যান। উখিয়া উপজেলা ছাত্রদলের নেতারা যাচ্ছিলেন উপজেলাধীন পালংখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্মেলনে।
উখিয়া থেকে নোয়াহ মাইক্রোবাসে এই নেতারা যাওয়ার পথে বালুখালী ঢালার কাছে ওই দূর্ঘটনা ঘটে। এই দূর্ঘটনায় উখিয়া উপজেলা ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান খানসহ অন্তত ৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে ইমরান খান গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই দূর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত অন্যরা হলেন উখিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি খাইরুল আমিন, রাজাপালং ইউনিয়ন (দক্ষিণ) সভাপতি রিদুয়ানুর রহমান, রাজাপালং ইউনিয়ন (উত্তর) সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক চৌধুরী।
আহত ইমরান খানকে কক্সবাজার শহরের ডিজিটাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওখানে তার মুখে অন্তত ৫০টির বেশি সেলাই দিতে হয়েছে। তার মুখের এক অংশ থেতলে গেছে। অন্য আহতদের উখিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অন্য আহতদের মধ্যে রিদুয়ানুর রহমান ও ফারুক চৌধুরীকে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ইমরান খানকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাশেদুল হক রাসেলসহ একদল নেতা-কর্মী।
ছাত্রদল সভাপতি আহত ছাত্রনেতার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছেন।
ওই সময় তার সাথে আরও ছিলেন কক্সবাজার শহর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ ইমরান, সিটি কলেজ শাখা যুগ্ম আহবায়ক শামসুল আলম, মহেশখালী উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াদ মো. আরাফাত হোসেন, ছাত্রদল নেতা মুজিবুর রহমান রোমান, আল আমিন, আবদুল্লাহ আল মামুন, সাইফুল আলম রানা, নুর উদ্দিন মুন্না, সাজ্জাদুর রহমান বাতেন, আকতার নূর, মোহাম্মদ ফায়েজ, আবু হেনা, শামিমুর রহমান শামীম, সাফ্ফাত ফারদিন চৌধুরী লামিম, যুবায়ের হোসেন সবুজ, ইসমাইল খান, জিসান উদ্দিন, লিকসন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম সিকদার প্রমূখ।
পরে জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুহেনা মোস্তফার অসুস্থ মাকে জেলা সদর হাসপাতালে দেখতে যান।
ওই সময় আবুহেনা মোস্তফার মায়ের আশুরোগ মুক্তি কামনা করেন। তিনি ছাত্রদল নেতার অসুস্থ মায়ের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার খবর নেন।